সবার জন্য সেনিটাইজেসন

জাতিসংঘের হিসাব মতে, আজও প্রায় ১০০ কোটির বেশি মানুষ খোলা আকাশের নিচে, নদী-খালের পাশে, পুকুরের কোনায় বা রাস্তার পাশে শৌচকর্ম করে। এদিকে বাংলাদেশের ২ কোটি ৩৪ লাখ মানুষ এখনও অনুন্নত শৌচাগার ব্যবহার করছে। তা ছাড়া জনসংখ্যার বড় অংশ উন্নত শৌচাগার ব্যবহার করলেও তা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মানদণ্ডে অনেকটাই পিছিয়ে। তাই আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উন্নত শৌচাগার ব্যবহার নিশ্চিত করা যেমন প্রয়োজন, তেমনি শৌচাগার ব্যবহারের ধর্মীয় শিষ্টাচার ও বিধিবিধান মেনে চলাও জরুরি।

ইসলামের বিধান হলো, খোলা জায়গায় পেশাব-পায়খানা না করা। পেশাব-পায়খানার সময় মানুষের দৃষ্টি থেকে নিজেকে আড়াল করা। কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘জিনের দৃষ্টি ও মানব সন্তানের লজ্জাস্থানের মধ্যে আড়াল হলো, যখন তাদের কেউ শৌচাগারে প্রবেশ করবে তখন বলবে ‘বিসমিল্লাহ।’ (সুনানে তিরমিজি : ৪৯৬)

হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটো কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বললেন, ‘তাদের উভয়কে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। বড় কোনো গুনাহের কারণে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না। এই ব্যক্তি তো পেশাব থেকে দূরত্ব বজায় রাখত না।’ (সহিহ বুখারি : ৬০৫২)

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এখনও শতভাগ স্যানিটাইজেসন নিশ্চিত হয়নি। অনেক দরিদ্র মানুষ প্রাথমিক পাকপবিত্রতা অর্জনেও অসহায়ত্ব বোধ করে। আমরা তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের টিম প্রত্যন্ত এলাকাগুলো ঘুরে ঘুরে স্যানিটাইজেশন নিশ্চিত করতে চায়। এই তহবিলে যুক্ত হতে পারে আপনার অনুদান। আমরা বিশ্বস্তহাতে নির্ধারিত খাতে আপনার অর্থব্যয়ে বদ্ধপরিকর।

error: Content is protected !!