শিক্ষা ইসলামের প্রাথমিক মৌলিক বিষয়াবলির অন্তর্ভুক্ত। আদি শিক্ষক হলেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। তাই ফেরেশতারা বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি পবিত্র! আপনি যা শিখিয়েছেন, তা ছাড়া আমাদের আর কোনো জ্ঞান নেই; নিশ্চয়ই আপনি মহাজ্ঞানী ও কৌশলী।’ (আল-কুরআন, সূরা-২ বাকারা, আয়াত: ৩২)।
নবী–রাসূলদের দাওয়াতি কাজের মূল ভিত্তি ছিল জ্ঞানের আলো দিয়ে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসা। হজরত ইব্রাহিম (আ.) দোয়া করেছিলেন: ‘হে আমাদের প্রভু! আপনি তাদের মাঝে এমন রাসূল পাঠান, যিনি তাদের সমীপে আপনার আয়াত উপস্থাপন করবে, কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দেবে এবং তাদের পবিত্র করবে। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী স্নেহশীল ও কৌশলী।’ (আল-কুরআন, সূরা-২ বাকারা, আয়াত: ১২৯)।
আমরা কত সহজে শিক্ষার আলো গ্রহণ করছি। অথচ সমাজের একটি শ্রেণি রীতিমতো শিক্ষাবঞ্চিত। তাদের মধ্যে রয়েছে—পথশিশু, বেদে, তৃতীয় লিঙ্গ (হিজড়া) বা বয়োবৃদ্ধ। তাদের জন্য প্রাথমিক জ্ঞান ও ধর্মীয় শিক্ষা নিশ্চিতকরণের প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছি। সমাজে মুহুর্মুহু যে অন্যায় অনাচার ছড়িয়ে পড়ছে, শিক্ষা ও ধর্মীয় জ্ঞানের প্রসার ঘটলে এই ছিন্নমূল শ্রেণি আলোকিত মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে। তাই এ প্রকল্পে আমরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। অর্থ ও কায়িক শ্রম দিয়ে আপনিও হতে পারেন আমাদের সঙ্গী। আপনার অর্থকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে নির্দিষ্ট ফান্ডে ব্যয় করতে আমরা বদ্ধপরিকর।