পুল-সাকো ও রাস্তা নির্মাণ তহবিল

প্রতিদিনই মানুষকে চলাফেরা করতে হয়। কোথাও না কোথাও যেতেই হয়। সে প্রয়োজনেই নির্মিত হয় রাস্তাঘাট, সড়ক-মহাসড়ক। ইসলামে রাস্তার পরিচ্ছন্নতা, পরিধি ও অধিকার নিয়ে যথার্থ আলোচনা আছে, যার মাধ্যমে ইসলামের নান্দনিকতা ও পরিপূর্ণতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। রাস্তা সচল ও পরিষ্কার রাখা ঈমানের অন্যতম একটি শাখা। রাস্তা বন্ধ করা, রাস্তায় নির্মাণসামগ্রী বা অন্য কিছু রেখে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা কোনোভাবেই ঈমানদারের কাজ নয়। বরং ঈমানের দাবি হলো—রাস্তা চলাচলের জন্য উন্মুক্ত ও পরিচ্ছন্ন রাখা। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ঈমানের সত্তরের অধিক শাখা আছে। সর্বোত্তম শাখা হলো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা। আর সর্বনিম্ন শাখা হলো রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে ফেলা। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৬২)

প্রশস্ত রাস্তায় নির্বিঘ্নে পথচলা যায় এবং অন্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অবকাশ থাকে। ইসলামে রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে এর পরিধি সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। নতুন জায়গায় বাড়ি করতে গিয়ে পরস্পরের মধ্যে রাস্তার পরিধি নিয়ে মতবিরোধ হলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাস্তার পরিধি উল্লেখ করে ফায়সালা দিয়েছেন। রাস্তা তৈরি করার ক্ষেত্রে সেটির অনুসরণ ফরজ না হলেও তা অনেক সমস্যার সমাধান করে দেয়। এমন রাস্তা যা দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সসহ প্রয়োজনীয় গাড়িঘোড়া চলাচল করতে পারে এবং সহজে জানাজার খাটিয়া বহন করা যায়। কাজেই রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন পরিধি হাদিসের বর্ণনামতোই হওয়া উচিত।

বাংলাদেশের অনেক গ্রামেগঞ্জে যাতায়াতব্যবস্থা দুর্গম। পুল-সাকো কিংবা ছোট সড়কের ফলে মানুষ বিপাকে পড়ে যায়। আমরা চেষ্টা করলে হয়তো তারা সুন্দরভাবে যাতায়াত করতে পারে। আমাদের মধ্যে যারা সামর্থ্যবান, তারা যদি দান-অনুদানে এগিয়ে আসি, একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। আমরা ইতিমধ্যে দুর্গম এলাকায় রাস্তা নির্মাণ ও প্রশস্তকরণ, পুল ও সাকো নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এই প্রকল্পে অংশীদারিত্বের সুযোগ রয়েছে আপনারও। আপনার অর্থকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে নির্দিষ্ট ফান্ডে ব্যয় করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

error: Content is protected !!