অসহায় মানুষ ও সৃষ্টির সেবা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান। এটি স্বতন্ত্র একটি ইবাদতও বটে। এ বিষয়ে ত্রুটি হলে কিয়ামতের দিন আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হবে। প্রশ্ন করা হবে বস্ত্রহীনদের বস্ত্রদান ও ক্ষুধার্তদের খাদ্যদান সম্পর্কে। ইসলাম মানবীয় গুণাবলির ক্ষেত্রে পরোপকার ও জনকল্যাণমূলক কাজকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ গুণ আখ্যা দিয়ে এর প্রতি উৎসাহ দেয়।
কোরআনে করিমের সূরা কাসাসের ৭৭ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা মানুষের প্রতি তেমন অনুগ্রহ করো (সদকা বা যেকোনো উপায়ে) যেমন আল্লাহ তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন।’ (সূরা কাসাস: ৭৭)
নিত্যদিন বাংলাদেশে অসংখ্য মানুষ ঘুর্ণিঝড় কিংবা বন্যার কবলে পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করেন। অসহায়-দুর্গত বানভাসিদের মধ্যে সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ তৎপরতা, বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতা চোখে পড়লেও তা মোটেই পর্যাপ্ত নয়; বরং পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে প্রয়োজনের তুলনায় খুবই স্বল্প ও সীমিত। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহতায়ালা বন্যার্ত কিংবা ঘুর্ণিঝড়ে আক্রান্ত মানুষদের তুলনায় আমাদের অনেককেই ভালো রেখেছেন, সুখে-শান্তিতে রেখেছেন। আমরা যারা নিরাপদ রয়েছি, আমাদের মানবিক দায়িত্ব হচ্ছে, নিজেদের উপলব্ধি ও বিবেকবোধ জাগ্রত করা, বন্যাকবলিত অসহায় মানুষদের কথা ভাবা। দয়া ও ভালোবাসা পরবশ হয়ে আরও আন্তরিকতার সঙ্গে বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসা। যারা নিরাপদে আছে, তার জন্য পরীক্ষা হলো সামর্থ্য অনুযায়ী তারা বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন কি না। বন্যাদুর্গতরা যেমন এই চরম বিপদে আল্লাহর কাছে সবর, তথা ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রভূত কল্যাণ ও মর্যাদা লাভের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।
আমাদের চৌকস একটি দল কাজ করে যাচ্ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত মানুষগুলোর মধ্যে ত্রাণ বিতরণে। ঝড়বৃষ্টি মাথায় নিয়ে তারা ছুটে চলছে অবিরাম। এই যাত্রায় আমরা আপনাকেও পাশে চাই। আপনার অর্থকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে নির্দিষ্ট ফান্ডে ব্যয় করতে আমরা বদ্ধপরিকর।