মাদরাসা-মসজিদ কমপ্লেক্স

মসজিদ হলো মুসলিম রাষ্ট ও সমাজের কেন্দ্রবিন্দু। এ কারণে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় প্রথম দিনই মসজিদ নির্মাণের কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন। মদিনায় হিজরতের সময় যাত্রাবিরতিকালে তিনি কুবা নামক স্থানে ইসলামের প্রথম মসজিদ নির্মাণ করেন। পরে মদিনায় পৌঁছে তিনি মসজিদ-ই-নববী স্থাপন করেন। সেখান থেকেই ইসলামের জ্যোতি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেন।

মসজিদ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণকারীদের মহান আল্লাহ ভীষণ পছন্দ করেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللَّهِ مَنْ آمَنَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلَاةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلَّا اللَّهَ فَعَسَى أُولَئِكَ أَنْ يَكُونُوا مِنَ الْمُهْتَدِينَ.

‘তারাই তো আল্লাহর মসজিদ নির্মাণ করবে, যারা ঈমান আনে আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি, সালাত কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না। অতএব আশা করা যায়, তারা হবে সৎপথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত। (আল-কুরআন, সূরা আত-তাওবা: 09 : ১৮)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

مَنْ بَنَى مَسْجِدًا يَبْتَغِي بِهِ وَجْهَ اللَّهِ بَنَى اللَّهُ لَهُ مِثْلَهُ فِي الْجَنَّةِ.

‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মসজিদ নির্মাণ করবে, মহান আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ ঘর তৈরি করে দেবেন।’ (সহিহ বুখারি : ৪৫০)

তাছাড়া মসজিদ নির্মাণ এমন একটি পুণ্যময় কাজ, যার সওয়াব মৃত্যুর পরও অব্যাহত থাকে। যত দিন সেই মসজিদে আল্লাহর ইবাদত হবে, ততদিন নির্মাণকারী এর সওয়াব পেতে থাকে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

‘সাত ধরনের আমলের প্রতিদান মৃত্যুর পর কবরেও জারি থাকে। ১. যে ব্যক্তি কাউকে দীনী ইলম শিক্ষা দেবে। ২. যে নদী প্রবাহিত করতে সহযোগিতা করবে। ৩. অথবা কূপ খনন করবে। ৪. অথবা গাছ রোপণ করবে। ৫. অথবা মসজিদ নির্মাণ করবে। ৬. অথবা কুরআন বিতরণ করবে। ৭. অথবা সুসন্তান রেখে যাবে যে তার মৃত্যুর পর তার জন্য দোয়া করবে। (আল বাহরুজ জাখখার : ১৩/৪৮৪)

এমনিভাবে কেউ যদি মাদ্রাসায় দান করেন, যতদিন ওই মাদ্রাসা চালু থাকবে, মাদ্রাসায় কুরআন হাদিসের পাঠ দান চালু থাকবে, ততদিন ওই দাতা ব্যক্তির আমলনামায়ও নেকি লেখা হতে থাকবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثَةٍ: إِلَّا مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ، أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ، أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ.

‘মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে তখন তার সব আমলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি জিনিস বাকি থাকে, ১. সদকায়ে জারিয়া; ২. এমন ইলম ও জ্ঞান; যা দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় ৩. নেক সন্তান, যে তার পিতামাতার জন্য দোয়া করবে।’ (সহিহ মুসলিম : 1631)

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

مَنْ عَلَّمَ عِلْمًا, فَلَهُ أَجْرُ مَنْ عَمِلَ بِهِ، لاَ يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِ الْعَامِلِ.

‘যে মানুষকে ইলম শিক্ষা দিল, এ ইলম অনুযায়ী আমলকারীর সমপরিমাণ নেকি তার আমলনামায়ও যুক্ত হতে থাকবে। অথচ তাদের কারও সওয়াবে কোনো কমতি হবে না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ : ২৪০)।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,

خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ.

‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই, যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে ও অন্যকে শিক্ষা দেয়।’ (সহিহ বুখারি : ৫০২৭)।

সুতরাং কেউ যদি দরিদ্র ছাত্রদের জন্য মাদ্রাসা ভবন নির্মাণ, কিতাব-পত্র দান ও এসব আনুষঙ্গিক বিষয়ে অর্থ খরচ করে তাহলে মৃত্যুর পর কবরে শুয়েও এসবের দ্বারা অর্জিত সওয়াব তার আমলনামায় যুক্ত হতে থাকবে।

তাই আসুন, আমরা নিজেদের পরকালকে আমলের রঙে রাঙাতে মুক্তহস্তে মসজিদ ও মাদরাসা ফান্ডে দান করি। আপনার অর্থকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে নির্দিষ্ট ফান্ডে ব্যয় করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

আমাদের সাথে যোগাযোগের ঠিকানা

আবরার ফাউন্ডেশন

অঞ্চলিক কার্যালয়: মাদরাসা রোড, চর বেউথা, মানিকগঞ্জ সদর, মানিকগঞ্জ-১৮০০, ঢাকা, বংলাদেশ

ফোন নাম্বার

+8801600351706

+8801886351706

+8801600351707

+8801886351707

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট

অ্যাকাউন্টের নাম: Abrar Foundation

অ্যাকাউন্ট নম্বার: 0000000000000

ব্যাংক: EXIM Bank

শাখা: Manikganj

রাউটিং নাম্বার: 100560611

সুইফট কোড: EXBKBDDH

জিমেইল: abrarfoundationbd@gmail.com

error: Content is protected !!