বৃক্ষরোপন তহবিল

প্রকৃতি আল্লাহর দান, প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষা আমাদের দায়িত্ব। পরিবেশ ও প্রতিবেশের অন্যতম নিয়ামক হলো উদ্ভিদ ও গাছপালা। গাছগাছালি, বৃক্ষতরু ও লতাগুল্ম থেকেই আসে আমাদের জীবনধারণ ও জীবন রক্ষার সব উপকরণ। প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ হাতে গাছ লাগিয়েছেন, সাহাবায়ে কেরামকে গাছ লাগাতে ও বাগান করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ব্যক্তিগত ও সামাজিক বনায়নও করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বৃক্ষরোপণকে সদকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। মানুষ, পাখি বা পশু যখন তাদের আহার্য গ্রহণ করে, তখন তা তার (রোপণকারী) পক্ষে একটি সদকা (দান) হিসেবে পরিগণিত হয়।

হাদিসে এসেছে,

مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَغْرِسُ غَرْسًا أَوْ يَزْرَعُ زَرْعًا فَيَأْكُلُ مِنْهُ طَيْرٌ أَوْ إِنْسَانٌ أَوْ بَهِيمَةٌ إِلَّا كَانَ لَهُ بِهِ صَدَقَةٌ.

‘যদি কোনো মুসলমান একটি বৃক্ষ রোপণ করে অথবা কোনো শস্য উৎপাদন করে এবং তা থেকে কোনো মানুষ কিংবা পাখি অথবা পশু ভক্ষণ করে, তবে তা উৎপাদনকারীর জন্য সদকা (দান) স্বরূপ গণ্য হবে।’ হয়।’ (সহিহ বুখারি: ২৩২০ ও সহিহ মুসলিম: ১৫৫২)

বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বেড়ে পরিবেশের ভারসাম্য হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বৃক্ষহীনতা। দিন দিন কমে যাচ্ছে গাছের সংখ্যা। বর্তমান পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণায়ন প্রতিরোধে তথা মানবসভ্যতার সুরক্ষার জন্য মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম–এর মহান সুন্নাত বৃক্ষরোপণ অতীব প্রয়োজন। এই প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে আমরা দেশব্যাপী বৃক্ষরোপন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। ইন-শা-আল্লাহ এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতি বছর সারাদেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ফলজ গাছগাছালি লাগানো হবে। আসুন, আমরা বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সাদকায়ে জারিয়ার সাওয়াব অর্জনের জন্য সচেষ্ট হই। আপনার অর্থকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে নির্দিষ্ট ফান্ডে ব্যয় করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

error: Content is protected !!