আজকে যদি আমাকে বলা হয়, ‘আপনাকে এক কোটি টাকা দেওয়া হবে, অথবা, বলা হয় যে, আপনাকে শত কোটি টাকা দেয়া হবে, আর এই বিপুল অর্থের বিনিময়ে আপনার চোখ দুটো বিক্রি করে দেন। আমি কি রাজি হবো? মোটেও না। চোখ আল্লাহ তায়ালার এক মহান নেয়ামত।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তিনিই সেই সত্তা, যিনি তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন কান-চোখ ও অন্তর; (তবে) তোমরা খুব কমই শোকরিয়া আদায় কর।’ (আল-কুরআন, সূরা মোমিনুন : ৭৮)।
অথচ মানুষ যে বস্তু না চাইতেই পেয়ে যায়, বিনাশ্রমেই তার করায়ত্বে আসে, তার যথাযথ মূল্যায়ন করে না। হারানোর পরেই এর প্রকৃত মর্যাদা অনুধাবন করতে সক্ষম হয়। আমরা প্রতিনিয়ত দৃষ্টিশক্তির অমূল্য এ নেয়ামত ফ্রিতে ভোগ করছি। যদি আল্লাহতায়ালা চোখ ব্যবহারের দৈনিক বা মাসিক ভাড়া নির্ধারণ করতেন, তাহলে কিছুটা হলেও উপলব্ধি হতো এর মূল্য। দৃষ্টিশক্তি দয়াময়ের কত বড় নেয়ামত, তা সামান্য হলেও অনুভব করতে হলে হাত দিয়ে চোখদুটো চেপে ধরে একটু কল্পনা করতে হবে। (আল্লাহ না করুন) কেউ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। শত চেষ্টা করেও এ সুন্দর পৃথিবীটা অবলোকন করতে পারছে না। দেখতে পাচ্ছে না নিজের প্রিয়তমা স্ত্রী, আদরের সন্তানাদি এবং রক্তের বাঁধন পিতামাতাকে। অন্যের সাহায্য ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না প্রয়োজনীয় চলাফেরা, ওঠাবসা, পানাহার।
ঠিক এমনই কল্পনা বাস্তবে প্রতিনিয়ত প্রতিফলিত হচ্ছে এক শ্রেণির মানুষের মাঝে। তারা দেখতে পায় না। অন্ধত্বের ভয়াল জীবন নিয়ে তারা বেঁচে আছে। আমাদের দেশে অসংখ্য গরীব মানুষ চক্ষু চিকিৎসার অভাবে অন্ধত্বের জীবনযাপন করেন। আমরা যেহেতু এই মহান নেয়ামতের অধিকারী, কৃতজ্ঞতাস্বরূপ কি পারি না তাদের পাশে দাঁড়াতে? আমরা সেই প্রকৃত অভাবী মানুষগুলোর জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের পাশে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে আপনিও দাঁড়াতে পারেন। আপনার অর্থকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে নির্দিষ্ট ফান্ডে ব্যয় করতে আমরা বদ্ধপরিকর।