তারাবিহ
তারাবিহ আরবী ‘তারওয়ীহাতুন’ এর বহুবচন। এর আভিধানিক অর্থ হলো—আরাম করা, বিশ্রাম করা। এটি ইসলামের একটি শরয়ী পরিভাষা; এটাকে কিয়ামুল লাইলও বলা হয়। পবিত্র রমাযান মাস ব্যাপি মুমিন বান্দাগণ প্রতিদিন ইশার নামাযের পর বিতিরের আগে এই নামায আদায় করেন। চার ইমামের মাযহাব অনুসারে তারাবীর নামায ২০ রাকাত।
তারাবীর নামায রমাযানুল মুবারকের অন্যতম শিআর বা প্রতীক। মুসলিমদের হৃদয়ে রয়েছে তারাবীহর অনেক মর্যাদা ও মহত্ত্ব এবং আল্লাহ রাববুল আলামীনের নিকটও আছে এর বিশেষ সম্মান ও শ্রেষ্ঠত্ব। হাদীসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন—
مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় রমাযানের রাতে ইবাদাত করবে তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’[[1]]
হাদীসটির উদ্দেশ্য হচ্ছে, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি ঈমান রেখে এবং আল্লাহর দরবারে আজর ও সাওয়াবের আশা পোষণ করে রমাযানের রাতে নামায, যিকির, তিলাওয়াত—ইত্যাদি ইবাদাতের মধ্যে মশগুল থাকবে, আল্লাহ তার পিছনের যাবতীয় সগীরা গুনাহ মাফ করে দেবেন। বাকি কবীরা! তো সেজন্য খালেস নিয়তে তাওবা করতে হবে।