সালাফ বিশ্বকোষ : পরিচিতি
সালাফ শব্দের শাব্দিক অর্থ
সালাফ-এর শাব্দিক অর্থ গত হওয়া।[1] একই শব্দ যখন ইসমুল ফায়েল তথা কর্তা অর্থে ব্যবহার হয় তখন এর দ্বারা উদ্দেশ্য হয়— বাপদাদা ও আত্মীয়স্বজনদের ভেতর থেকে যারা গত হয়েছেন এবং যারা বয়স ও সম্মানে আমাদের থেকে অগ্রগামী। অর্থাৎ যারা আমাদের থেকে বয়সে ও জমানার দিক থেকে ওপরে, তাদের প্রত্যেকেই শাব্দিকভাবে আমাদের জন্য সালিফ বা সালাফ।[2]
মোটকথা, সালাফ শব্দের যতগুলো ব্যবহার আছে, প্রায় সবগুলোর মাঝেই অতীত ও বিগত সময়, কিংবা পূর্ববর্তী প্রজন্ম—এ জাতীয় অর্থ পাওয়া যায়। পবিত্র কুরআনেও এ অর্থে সালাফ শব্দটি এসেছে। যেমন :
ক. গত হওয়া
قُلْ لِلَّذِينَ كَفَرُوا إِنْ يَنْتَهُوا يُغْفَرْ لَهُمْ مَّا قَدْ سَلَفَ وَإِنْ يَعُودُوا فَقَدْ مَضَتْ سُنَّتُ الْأَوَّلِينَ.
(হে নবি!) যারা কুফর অবলম্বন করেছে, তাদেরকে বলে দাও, তারা যদি নিবৃত্ত হয়, তবে অতীতে যা কিছু হয়েছে তা ক্ষমা করে দেওয়া হবে। কিন্তু তারা যদি পুনরায় সে কাজই করে, তবে পূর্ববর্তী লোকদের সাথে যে আচরণ করা হয়েছে, তা তো (তাদের সামনে) রয়েছেই।[3]
খ. অতীত সম্প্রদায়
فَجَعَلْنَهُمْ سَلَفَا وَ مَثَلًا لِلْأَخِرِينَ.
‘আর তাদেরকে আমি এক বিগত জাতি এবং অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত বানিয়ে দিলাম।’[4]
অনুরূপ হাদিস শরিফেও সালাফ শব্দের ব্যবহার এসেছে। যেমন এক হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের মৃত্যু ঘনিয়ে আসার সংবাদ হজরত ফাতেমা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে শোনাতে গিয়ে বলেন,
نِعْمَ السَّلَفُ أَنا لَكِ.
‘আমিই তোমার জন্য সর্বোত্তম অগ্রগমনকারী।’[5]

পারিভাষিক অর্থ
পারিভাষিকভাবে সালাফ শব্দের প্রয়োগক্ষেত্র দুটি।
এক.
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যু-পরবর্তী (শ্রেষ্ঠ তিন প্রজন্মের) নির্দিষ্ট সময়ের ওপর সালাফ শব্দের প্রয়োগ। এটিই সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ও ব্যবহৃত প্রয়োগ। এ ক্ষেত্রে ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয় উত্তম জমানাকেন্দ্রিক। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি হাদিস। তিনি বলেন,
خَيْرُ الْقُرُونِ قَرْنِي ثُمَّ الَّذِيْنَ يَلُوْنَهُمْ ثُمَّ الَّذِيْنَ يَلُوْنَهُمْ.
তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম হলো আমার প্রজন্ম, অতঃপর তাদের পরবর্তী প্রজন্ম, এরপর তাদের পরবর্তী প্রজন্ম।[6]
এই হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের যুগ ও পরবর্তী দুই যুগকে পর্যায়ক্রমে শ্রেষ্ঠ যুগ বা প্রজন্ম হিসেবে ঘোষণা করেছেন। ফলে জমহুর উলামায়ে কেরাম সাহাবি, তাবেয়ি ও তাবে তাবেয়ি—এই তিন প্রজন্মকে হাদিসে বর্ণিত শ্রেষ্ঠত্বের অন্তর্ভুক্ত করে থাকেন। তবে কেউ কেউ মনে করেন, খাইরুল কুরুনের সময়টি তাবেয়িদের পর্যন্তই নির্দিষ্ট। আবার কেউ কেউ একটু পিছিয়ে খাইরুল কুরুনকে কেবল সাহাবিদের যুগ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ করেন। অন্যদিকে পাঁচশ হিজরির পূর্ব পর্যন্ত খাইরুল কুরুন সম্প্রসারিত করার ব্যাপারেও কারও কারও মত পাওয়া যায়। এগুলো হলো কিছু আলেমের অভিমত। কিন্তু যুগ যুগ ধরে অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম গ্রহণযোগ্য মতানুসারে হাদিসে বর্ণিত বিন্যাস অনুযায়ী সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ি ও তাবে তাবেয়িদের প্রজন্মকে শ্রেষ্ঠ প্রজন্ম হিসেবে বিবেচনা করে আসছেন।
প্রকৃতপক্ষে খাইরুল কুরুনের সময়ের ব্যাপ্তি জানার জন্য আমাদেরকে হাদিসে বর্ণিত ‘করনুন’ শব্দটির ব্যাখ্যা জানতে হবে। করনুন এর শাব্দিক অর্থ হলো, জমানার নির্দিষ্ট সময়।[7] আর ইবনুল আসির রহিমাহুল্লাহর মতে করন মানে হলো, প্রত্যেক জমানার অধিবাসীরা।[8]
পারিভাষিক অর্থে করনুন শব্দ নিয়ে মৌলিকভাবে দুটি অভিমত রয়েছে।
১. প্রথম অভিমতের পক্ষের ভাষাবিদদের মতে করন বলতে একটি নির্দিষ্ট সময়-কালকে বোঝায়। তাদের মধ্যে করনুন-এর সময়ের ব্যাপ্তি নিয়ে ১০ বছর থেকে ১২০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মতামত রয়েছে। সবচেয়ে প্রসিদ্ধ মত হলো, ১০০ বছরে এক করনুন হয়। এই মতের পক্ষে হাদিসেরও দলিল আছে। সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে বুসর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
‘রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার মাথায় তার হাত রেখে বললেন, ‘এই ছেলে এক করনুন সময় বেঁচে থাকবে।’ পরে দেখা গেছে তিনি ১০০ বছর জীবিত ছিলেন।[9]
২. দ্বিতীয় মত তাদের, যারা করনুন এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় কাল নির্ধারণ করেন না; বরং তারা করন বলতে প্রত্যেক জমানার লোকদের গড় আয়ু বা তাদের জীবিত থাকার একটি মধ্যবর্তী বয়সসীমার যে সময়-কাল, সেটিকে বোঝান। ইবনে হাজার আসকালানি রহিমাহুল্লাহ এই অভিমতকেই সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বিষয়টিকে এভাবে ব্যক্ত করেন, ‘করনুন কোনো একটি জমানার কাছাকাছি বয়সের মানুষদের বোঝায় যারা নির্দিষ্ট বিষয়ে পরস্পরে সম্পৃক্ত।’ এর ভিত্তিতে তিনি বলেন, ‘সুতরাং করনুন এর সময়সীমা প্রত্যেক জমানার বাসিন্দাদের বয়সসীমা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্নও হতে পারে।’[10]
আবার আল্লামা হারবি রহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘করনুন বলা হয় প্রত্যেক যুগের নিঃশেষ হওয়া জাতিকে, যাদের আর কোনো সদস্য অবশিষ্ট বা জীবিত নেই।[11]
মূলত এই সব অভিমতের ভেতর বড় ধরনের কোনো বিরোধ নেই। যতটুকু বিরোধ আমাদের সামনে দৃশ্যমান, এর মধ্য থেকে আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানি রহিমাহুল্লাহর অভিমতকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা একটি ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারি।
আর তা এই জন্য যে, হাদিসে এসেছে রাসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার উম্মতের স্বাভাবিক বয়স ষাট হতে সত্তর বছরের মাঝে হবে এবং তাদের কম সংখ্যকই এই বয়সসীমা পার করবে।[12] বাস্তবেও বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। ইবনে হাজার আসকালানি রহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘ঐতিহাসিকরা একমত যে, সর্বশেষ তাবে-তাবেয়ি মৃত্যুবরণ করেন ২২০ হিজরিতে। এরপর থেকেই বিদআতের প্রকাশ ঘটতে থাকে, মুতাজিলাদের ভয়াবহ জবান চলতে শুরু করে, দার্শনিকরা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, আহলে ইলমরা খলকে কুরআনের মাসআলা নিয়ে পরীক্ষার শিকার হন এবং যুগের অবস্থা অনেক পরিবর্তন হয়ে যায়।[13]
সুতরাং রাসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগ হলো সাহাবায়ে কেরামের যুগ, সাহাবিদের যুগ হলো তাবেয়িদের, আর তাবেয়িদের যুগ হলো তাবে- তাবেয়িদের।[14] অর্থাৎ হাদিসে বর্ণিত প্রথম করন হলো যারা রাসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পেয়েছেন। দ্বিতীয় করনুন হলো যারা সাহাবিদের পেয়েছেন। আর তৃতীয় করন হলো যারা তাবেয়িদের পেয়েছেন। যার ফলাফল দাঁড়ায়—সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ি ও তাবে তাবেয়িরা হলেন হাদিসে বর্ণিত শ্রেষ্ঠ তিন প্রজন্মের মানুষ। এর স্বপক্ষে অনেক হাদিসও পাওয়া যায়।
সাহাবায়ে কেরামের শ্রেষ্ঠত্ব রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সান্নিধ্য পাওয়ার কারণে, তাবেয়িদের শ্রেষ্ঠত্ব সাহাবিদের সান্নিধ্য ও তাদের থেকে ইলমে দীন লাভ করার কারণে, আর তাবে তাবিয়েদের শ্রেষ্ঠত্ব সাহাবিদের সান্নিধ্য যার পেয়েছেন তাদেরকে দেখার জন্য।
আবু সাইদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করে বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘লোকেদের ওপর এমন একসময় আসবে, যখন তাদের বিরাট সৈন্যবাহিনী জিহাদের জন্য বের হবে। তখন তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছেন কি, যিনি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্য লাভ করেছেন? তাঁরা বলবেন, হ্যাঁ আছেন। তখন তাদেরকে জয়ী করা হবে। অতঃপর মানুষের ওপর পুনরায় এমন একসময় আসবে, যখন তাদের বিরাট বাহিনী যুদ্ধে লিপ্ত থাকবে। তখন তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছেন কি, যিনি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচর্য্যপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির সাহচর্য লাভ করেছেন। তারা বলবেন, হ্যাঁ আছেন। তখন তাদেরকে জয়ী করা হবে। অতঃপর লোকদের ওপর এমন একসময় আসবে, যখন তাদের বিরাট বাহিনী জিহাদে অংশগ্রহণ করবে। তখন তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছেন। কি, যিনি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবিগণের সাহচর্যপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির সাহচর্য লাভ করেছেন? বলা হবে, হ্যাঁ আছেন। তখন তাদেরকে জয়ী করা হবে।[15]
ওয়াসিলাহ ইবনুল আসকা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে আরেক বর্ণনায় এসেছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের মাঝে যতক্ষণ পর্যন্ত আমার দর্শন লাভ করা ও সাহচর্য্যপ্রাপ্ত কেউ থাকবে, ততক্ষণ তোমরা কল্যাণের সাথেই থাকবে। আল্লাহর শপথ! ততক্ষণ তোমরা কল্যাণের সাথেই থাকবে, যতক্ষণ তোমাদের মধ্যে আমার সাহাবির দর্শন ও সাহচর্য্যপ্রাপ্ত ব্যক্তি থাকবে।’[16]
ইমাম নববি রহিমাহুল্লাহ বলেন, ‘এই হাদিসে রাসুলের মুজিযা, সাহাবি, তাবেয়ি ও তাবে তাবেয়িদের মর্যাদার কথা বর্ণিত হয়েছে।’[17]
আরেক বর্ণনায় হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো, মানুষের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ? তিনি বললেন, ‘আমি এবং আমার সাহাবিরা, এরপর যারা আমার সাহাবিদের পরে আসবে, এরপর যারা তাদের পরে আসবে।’[18]
এই সমস্ত হাদিস থেকে সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায়, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ি ও তাবে-তাবেয়িরা হলেন এই উম্মাহর শ্রেষ্ঠ প্রজন্ম। পারিভাষিকভাবে এই তিন প্রজন্মকেই সালাফ বলে। ইমাম যাহাবি রহিমাহুল্লাহ ৩শ হিজরির শেষ পর্যন্ত সালাফদের জমানার সীমা নির্ধারণ করেছেন। ৩শ তম হিজরিকে তিনি সালাফ ও খালাফের মধ্যবর্তী ফাসেলা (বিভাজক) হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।[19]
দুই.
সালাফ শব্দের আপেক্ষিক একটি ব্যবহারও আছে। যেমন তাবেয়িরা সাহাবিদের ক্ষেত্রে সালাফ শব্দ ব্যবহার করতেন। অনুরূপ তাবে তাবেয়িরা তাবেয়িদের ক্ষেত্রে সালাফ শব্দের ব্যবহার করতেন। অর্থাৎ প্রত্যেক পরবর্তীদের জন্য তাদের পূর্ববর্তীরা হলেন সালাফ। শাব্দিক অর্থে আপেক্ষিকভাবে সালাফ শব্দের এমন ব্যবহারও করা যায়। কিন্তু পারিভাষিকভাবে সালাফ বলতে প্রথম তিন জমানাকেই বোঝানো হয়।
সালাফ বিশ্বকোষ ও সালাফ
‘সালাফ বিশ্বকোষ’-এর আমরা সালাফ শব্দকে আপেক্ষিক অর্থে ব্যবহার করেছি। অর্থাৎ, যদিও পারিভাষিকভাবে সালাফ বলতে প্রথম তিন জমানাকেই বোঝানো হয় কিন্তু আপেক্ষিকভাবে সালাফ বলতে ‘পরবর্তীদের জন্য তাদের পূর্ববর্তীরা সালাফ’-এই অর্থ বোঝায়। আর আমরা এই অর্থেই সালাফ শব্দ ব্যবহার করেছি। সাহাবী, তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ীদের পরবর্তীদের এবং আমাদের পূর্ববর্তীদের আলোচনা এই ‘সালাফ বিশ্বকোষ’ – করা হবে।
এর আরেকটি কারণ হল, আমরা ‘সাহাবী বিশ্বকোষ’-এ সাহাবী, তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ীদের নিয়ে আলোচনা করেছি। তাই আমাদের ‘সালাফ বিশ্বকোষ’-এর আলোচন্য বিষয় সাহাবী, তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ী না হয়ে তাদের পরবর্তীদের এবং আমাদের পূর্ববর্তীদের আলোচনা হওয়ায় বাঞ্ছনীয়।
সালাফ বিশ্বকোষ (বর্ণানুক্রমিক)-প্রকল্পে প্রায় ৬০০০ সালাফ ও আওলিয়ায়ে কেরামের সুবিন্যস্ত জীবনী আলোচনা করেছি। সালাফদের তালিকা অক্ষর (অ-হ) হিসেবে সাজানো হয়েছে। আবার প্রতি অক্ষরকে আ-কার, ই-কার, ঈ-কার, উ-কার, ঊ-কার, ঋ-কার, এ-কার, ঐ-কার, ও-কার, ঔ-কার, ক-ফলা, ব-ফলা, য-ফলা, র-ফলা হিসেবে বিন্যাস করা হয়েছে। যেমন কা, কি, কী, কু, কূ, কৃ, কে, কৈ, কো, কৌ, ক্ক, ক্ক, ক্যা ক্স, (ঞ) ইত্যাদি।
আমরা আশা করি, সাহাবি বিশ্বকোষ, তাবেয়ী বিশ্বকোষ, তাবে তাবেয়ী বিশ্বকোষ ও সালাফ বিশ্বকোষ আমাদের জ্ঞানের রাজ্যে ও জাতীয় জীবনে সুদূর প্রসারী প্রভাব ফেলবে। আলোকিত এসব মনীষীর জীবন ও কর্ম আত্মস্থ করে নিজেরাও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে বাংলা ভাষাভাষী জনগণ। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে বাকী কাজগুলো সফলতার সাথে সমাপ্ত করার তাওফীক দান করুন এবং ক্ষুদ্র এ প্রয়াস কবুল করুন। আমিন।
গ্রন্থপঞ্জি
[1] মুজামু মাকারিসিল লুগাহ লি ইবনি ফারিস, ৩/20
[2] লিসানুল আরব, ৯/১৫
[3] সুরা আনফাল, আয়াত ৩৮
[4] সুরা জুখরুফ, আয়াত ৫৬
[5] সহিহ বুখারি, হাদিস নং ৬২৮৫
[6] সহিহ বুখারি, হাদিস নং ২৬৫১; সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৫৩৫
[7] তাহযিবুল আসমা ওয়াল লুগাত, ৩/২৬৯
[8] আন নিহায়াহ, ৪/05
[9] মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ৯/৪০৪
[10] ফাতহুল বারি, ৭/৮
[11] তাহজিবুল আসমা ওয়াল লুগাত, ৩/২৬৯
[12] সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং ২৩৩১, সনদ হাসান।
[13] ফাতহুল বারি, ৭/৮
[14] শরহুল মুসলিম লিন নববি, ১৬/৮৫
[15] সহিহ বুখারি, হাদিস নং ২৬৪৯; সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৫৩২
[16] মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবাহ, হাদিস নং ৩২৪০৭; আল মুজামুল কাবির লিত তাবারানি, হাদিস নং ২০৭, ইবনে হাজার আসকালানি রহিমাহুল্লাহ ফাতহুল বারিতে হাদিসটিকে হাসান বলেছেন, ৭/৫
[17] শরহু মুসলিম, ১৬/22
[18] মুসনাদে আহমাদ, ০২/৩৪০, শায়খ শুআইব আরনাউত রহিমাহুল্লাহ হাদিসটিকে জায়্যিদ বলেছেন।
[19] মিযানুল ইতিদাল ০১/08