১৬. (৯) গাজওয়া যু-আমর – Dhu Amarr raid
৯. গাজওয়া যু-আমর
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নেতৃত্বে সংঘটিত গাজওয়া : ৯ |
|||||||||
|
|||||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||||
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম | দুসুর ইবনুল-হারেস আল- মুহারিবি | ||||||||
শক্তি | |||||||||
চারশত পঞ্চাশজন | অজ্ঞাত |
পরিচিতি
বদর ও উহুদ যুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নেতৃত্বাধীনে এটিই সর্বাপেক্ষা বড় সামরিক অভিযান। এই সমরাভিযান তৃতীয় হিজরির মুহাররম মাসে অনুষ্ঠিত হয়। ইবনে সাদ রহ. বলেন, ‘এই অভিযান মদিনায় হিজরতের ২৫তম মাসের মাথায় অর্থাৎ তৃতীয় হিজরির রবিউল আওয়াল মাসে অনুষ্ঠিত হয়।’[1] ইবনে ইসহাক রহ.-এর মতে এটি তৃতীয় হিজরির সফর মাসে অনুষ্ঠিত হয়।[2]
মানচিত্র (১৭) : গাযওয়ায়ে যি আমর বা যু আমর-এর স্থান
হাফেজ ইবনে কাসির রহ. ওয়াকিদির উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেন, ‘তৃতীয় হিজরির ১৩ই রবিউল আওয়াল বৃহস্পতিবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই সমরাভিযানে রওনা হন।[3] এই গাজওয়াকে গাজওয়ায়ে নাজদও বলা হয়। হাকিম এই যুদ্ধের নাম গাজওয়ায়ে আনমার বলে উল্লেখ করেন।[4]
ইবনে হিশাম বলেন, দ্বিতীয় হিজরির জিলহজ মাসে সংঘটিত সাবিক নামক যুদ্ধাভিযান থেকে প্রত্যাবর্তনের পর ওই মাসের অবশিষ্ট দিনগুলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় বা তার আশেপাশে অবস্থান করেন। এরপর গাতফানের উদ্দেশ্যে নাজাদ এলাকায় যুদ্ধে রওনা হন।[5] ইবনে জারির তাবারি বলেন, ‘এটিই গাজওয়া যি-আমর বা যু-আমরের যুদ্ধ নামে পরিচিত।’
আরো পড়ুন : সারিয়্যা শুজা ইবনে ওয়াহব আল-আসাদি – Expedition of Shuja ibn Wahb al-Asadi
আরো পড়ুন : সারিয়্যা সাঈদ ইবনে জায়েদ আল-আশহালি Raid of Sa’d ibn Zaid al-Ashhali
আরো পড়ুন : সারিয়্যা হিসমি – Expedition of Zayd ibn Harithah (Hisma)
যুদ্ধাভিযানের কারণ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোপন সূত্রে জানতে পারলেন, বনি সালাব এবং বনি মুহারিব গোত্রের এক বিরাট বাহিনী মুসলমানদের পরাজিত ও নিঃশেষ করার দৃঢ় সংকল্পে যু-আমর নামক স্থানে একত্র হয়েছে।[6] দুসুর ইবনুল-হারেস আল-মুহারিবি এই বিশাল বাহিনীর নেতৃত্বে ছিল। খতিব বাগদাদির বর্ণনা থেকে এই সেনাপতির নাম গুসার, অন্যান্য ঐতিহাসিক ওই ব্যক্তির নাম গুরাক বলে উল্লেখ করেন। মুহারিব গোত্রের এই লোকটি অত্যন্ত সাহসী এবং বীরযোদ্ধা হিসেবে খ্যাতিমান ছিল।[7]
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের মোকাবেলায় যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য সাহাবিগণকে আহ্বান জানালেন। সাহাবিগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অশ্বারোহী ও পদাতিক মিলে মোট চারশত পঞ্চাশজন মুসলিম সৈন্যের এক বাহিনী এবং কিছু ঘোড়া নিয়ে গাতফানের উদ্দেশ্যে নাজদ ও নুখাইলের দিকে রওনা হলেন। মদিনায় উসমান ইবনে আফফান রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে প্রতিনিধি হিসেবে রেখে গেলেন।[8]
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবিগণকে নিয়ে যাত্রা শুরু করলেন। তিনি উহুদ ও মদিনার মধ্যবর্তী মুনাক্কা নামক স্থানের উপর দিয়ে নাজদের নিকটবর্তী ‘যুল-কাসসা’ নামক স্থানে পৌঁছান।[9] এই স্থানে এসে সালাবা গোত্রের জাব্বার নামক এক ব্যক্তিকে পেয়ে মুসলমানগণ তাকে গ্রেফতার করেন। অতঃপর তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি কোথায় যাচ্ছ?’ সে বলল, ‘ইয়াসরিব।’ মুসলমানগণ আবার জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ইয়াসরিবে তোমার কী প্রয়োজন?’ সেই ব্যক্তি বলল, ‘আমি নিজেকে লুকিয়ে রেখে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে চাই।’ তাকে প্রশ্ন করা হলো, ‘তুমি কি কোনো বাহিনীর সাথে এসেছ কিংবা তোমার কওমের কোনো সংবাদ বহন করে এনেছ?’ সে বলল, ‘না। তবে আমার নিকট সংবাদ পৌঁছেছে, দুসুর ইবনুল হারেস মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য লোকদের একত্র করছে।’ সাহাবিগণ তাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সমীপে উপস্থিত করলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ইসলাম কবুলের আহ্বান জানালে সে ইসলাম কবুল করল। সে বলল, ‘হে নবী! শত্রুপক্ষ কখনো আপনাদের মোকাবেলা করার সাহস পাবে না। তারা যদি আপনাদের সমরাভিযানের সংবাদ জানতে পারে, তবে ভয়ে পালিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় আশ্রয় নেবে। আমি তাদের ঘাঁটির দিকে পথ প্রদর্শন করতে আপনাদের সাথেই আছি।’ ইসলামের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান দানের জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বেলাল রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর সঙ্গী করে দেন। তিনি মুসলিম সৈন্যবাহিনীকে শত্রুদের আবাসস্থল পর্যন্ত রাস্তা দেখিয়ে নিয়ে যান।[10]
এ দিকে শত্রুরা মুসলিম সৈন্যবাহিনীর আগমনের সংবাদ পেয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং আশেপাশের পাহাড়গুলোতে আত্মগোপন করে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখলেন এবং সৈন্যবাহিনীসহ শত্রুদের একত্র হওয়ার স্থান পর্যন্ত গমন করলেন। এটি ছিল মূলত একটা প্রস্রবণ, যা ‘যু-আমর’ নামে পরিচিত। এজন্যই এই অভিযানকে ‘যু-আমরের যুদ্ধ’ নামে অভিহিত করা হয়। শত্রুপক্ষের কারো সাথেই মুসলমানদের সাক্ষাৎ হয়নি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওই স্থানেই শিবির স্থাপন করলেন। ওই সময়ে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রাকৃতিক কাজ সারবার জন্য ছাউনি থেকে বাইরে এলে বৃষ্টিতে তার কাপড় ভিজে যায়। তিনি ভেজা কাপড় খুলে শিবির থেকে নিচে এসে একটি গাছের ডালে শুকাতে দিলেন এবং নিজে ওই গাছের নিচে শুয়ে বিশ্রাম করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লেন। প্রতিপক্ষ বেদুঈনরা পাহাড়ের চূড়া থেকে এ সকল ঘটনা প্রত্যক্ষ করছিল।
আরো পড়ুন : সারিয়্যা বাশির ইবনে সাদ আনসারি – Expedition of Bashir Ibn Sa’d al-Ansari
আরো পড়ুন : সারিয়্যা বাশির ইবনে সাদ আল-আনসারি – Expedition of Bashir Ibn Sa’d al-Ansari (Fadak)
আরো পড়ুন : সারিয়্যা যুল-কাস্সা – Expedition of Muhammad ibn Maslamah
এই দৃশ্য দেখে বেদুঈনরা তাদের দলের সেই প্রখ্যাত যোদ্ধা ইবনে হারেস, মতান্তরে দুসুর ইবনে হারেসকে লক্ষ করে বলল, ‘মুহাম্মাদকে হত্যা করার এটিই সুবর্ণ সুযোগ। সঙ্গীগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তিনি এখন একাকী নিদ্রামগ্ন। এই অপূর্ব সুযোগ হাতছাড়া করা মোটেই সমীচীন হবে না।’ তখন সেই দুসুর একটি তরবারি হাতে নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিয়রের পাশে দণ্ডায়মান হয়ে বলতে লাগল, ‘হে মুহাম্মাদ! আজ তোমাকে আমার হাত থেকে কে রক্ষা করবে?’ নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত দৃঢ়চিত্তে উত্তর দিলেন, ‘আল্লাহ!’ আল্লাহ তায়ালার আদেশক্রমে জিবরাঈল আলাইহিস সালাম অবতরণ করে তার হৃদয়ে ভীতির সঞ্চার করলেন। তার হাত থেকে তরবারি পড়ে গেল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তরবারি উঠিয়ে নিয়ে বললেন, ‘এবার তোমাকে কে রক্ষা করবে?’ সে বলল, ‘কেউই রক্ষা করতে পারবে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসুল। আল্লাহর কসম! আপনার উপর কখনো কোনো বাহিনী জয়লাভ করতে সক্ষম হবে না।’ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার তরবারি ফেরত দিলেন। তিনি তার সাথিদের কাছে পৌঁছালে তারা বলতে লাগল, ‘তোমার পতন হোক, কী হয়েছে তোমার যে, এই ধরনের মহাসুযোগ পেয়েও মুহাম্মাদকে হত্যা করতে পারলে না?’ তিনি উত্তরে বললেন, ‘আমি তরবারি হাতে নিয়ে যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাথার পাশে দণ্ডায়মান হলাম, তখন দেখতে পেলাম, সাদা পোশাক পরিধানকারী দীর্ঘাকৃতির এক ব্যক্তি এসে আমার বুক ও পিঠ চেপে ধরলেন। ফলে আমি ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়লাম। তরবারি আমার হাত থেকে পড়ে গেল। আমি চিনতে পারলাম, ইনি আল্লাহর ফেরেশতা। এই অবস্থায় আমি কালেমা পড়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে ইসলাম কবুল করেছি। আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, কোনো বাহিনীই মুসলমানদের উপর জয়লাভ করতে পারবে না।’ পরে তিনি স্বগোত্রীয় লোকদের ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানাতে লাগলেন।[11] ওয়াকিদি রহ. বলেন, এই ঘটনা উপলক্ষ্যে আল্লাহ তায়ালা নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ করেন,[12]
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ هَمَّ قَوْمٌ أَنْ يَبْسُطُوا إِلَيْكُمْ أَيْدِيَهُمْ فَكَفَّ أَيْدِيَهُمْ عَنْكُمْ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ
‘হে মুমিনগণ! তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ করো। যখন এক সম্প্রদায় তোমাদের দিকে তাদের হাত প্রসারিত করতে সচেষ্ট হয়েছিল, তখন তিনি তাদের হাত তোমাদের থেকে প্রতিহত করে দিলেন। আল্লাহকে ভয় করো। আর মুমিনদের উচিত আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখা।’[13]
তাফসিরে ইবনে কাসিরেও এই আয়াত নাজিলের প্রেক্ষাপট বর্ণনায় অনুরূপ ঘটনা উল্লেখ রয়েছে।[14] ইমাম বায়হাকি রহ. বলেন, ‘হিজরতের ৪৭তম মাসে সংঘটিত যাতুর-রিকা যুদ্ধেও অনুরূপ ঘটনার উল্লেখ রয়েছে। অতএব বলা যায়, সম্ভবত একই ঘটনা পৃথক পৃথকভাবে দুইবার সংঘটিত হয়ে থাকবে।’[15]
বেদুঈনদের উপর প্রভাব-প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠিত এবং মুসলমানদের শক্তি-সামর্থ্য সম্পর্কে তাদের ওয়াকিফহাল করাবার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবিদের নিয়ে তৃতীয় হিজরির পূর্ণ সফর মাস সেখানে অতিবাহিত করেন, অতঃপর মদিনায় ফিরে আসেন।[16]
এই যুদ্ধাভিযানে প্রত্যক্ষ সশস্ত্র লড়াই হয়নি বিধায় ইসলামের ইতিহাসে এটি কম আলোচিত হয়েছে। কিন্তু ইসলামের ভিত্তি মজবুতকরণ, প্রচার-প্রসার এবং মুসলমানদের শক্তি-সাহস সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে এই ধরনের খণ্ড খণ্ড অভিযানগুলো সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। বনু সালাবা গোত্রের জাব্বার এবং আরব বেদুঈনদের প্রখ্যাত যোদ্ধা শুরাস বা দুসুর ইবনে হারেস এই যুদ্ধাভিযানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে ইসলাম কবুল করেছিলেন, যা প্রত্যক্ষভাবে মুসলমানদের বিজয় ও উত্তরোত্তর অগ্রগতির সাক্ষ্য বহন করে। ইহুদি ও বেদুঈন জাতিও ইসলামের শক্তি সম্পর্কে এই অভিযানে আরও নিশ্চিত ধারণা লাভ করে। তারা শত্রুতা পরিত্যাগ না করলেও মুসলমানদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার সাহস হারিয়ে ফেলে।
আরো পড়ুন : সারিয়্যা জায়েদ ইবনে হারিসা (কারাদা অভিযান) – Expedition of Zayd ibn Haritha
আরো পড়ুন : সারিয়্যা জায়েদ বিন হারিসা (জামুম) – Expedition of Zayd ibn Harithah (Al-Jumum)
আরো পড়ুন : সারিয়্যা দাহহাক ইবনে সুফিয়ান – Expedition of Dahhak al-Kilabi
তথ্যসূত্র
[1]. ইবনু সাদ, আত-তাবাকাতুল কুবরা : ২/৩৪
[2]. ইবনে ইসহাক, সিরাত : ৩/২১৯
[3]. ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া : ২/৩; আল-ওয়াকিদি, কিতাবুল মাগাজি : ১/১৯৮
[4]. সিরাতে মুহাম্মাদিয়া, আল-মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়্যা : ৩৫২
[5]. ইবনে হিশাম, আস-সিরাতুন নাবাবিয়্যা : ১/৬৪৮; যাদুল মাআদ : ৩/১৮৭; মোবারকপুরি, আর-রাহিকুল মাখতুম : ২৬৮
[6]. আল-কামিল ফিত-তারিখ : ২/১৪২
[7]. কাসতালানি, সিরাতে মুহাম্মাদিয়া : ৩৫২; আত-তাবাকাতুল কুবরা : ২/৩৪
[8]. মোবারকপুরি, আর-রাহিকুল মাখতুম : ২৪১; আত-তাবাকাতুল কুবরা : ২/৩৪
[9]. ওয়াফাউল-ওয়াফা : ২/৩৬২
[10]. ওয়াকিদি, কিতাবুল মাগাজি : ১/১৯৪
[11]. ওয়াকিদি, কিতাবুল মাগাজি : ১/১৯৫-৯৬; ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া : ২/৩
[12]. কিতাবুল-মাগাজি, প্রাগুক্ত; আত-তাবাকাতুল-কুবরা : ২/৩৫
[13]. আল-মায়েদাহ, ১১
[14]. ইবনে কাসির, তাফসিরুল-কুরআনিল-আজিম : ২/৩২
[15]. ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া : ২
[16]. মোবারকপুরি, আর-রাহিকুল মাখতুম : ২৪১; ইবনু সাদ, আত-তাবাকাতুল কুবরা : ২/৫