সিরাত বিশ্বকোষ
সিরাত বিশ্বকোষ

১৮. (৮) সারিয়্যা জায়েদ ইবনে হারিসা (কারাদা অভিযান) –  Expedition of Zayd ibn Haritha

১৮. (৮) সারিয়্যা জায়েদ ইবনে হারিসা (কারাদা অভিযান) – Expedition of Zayd ibn Haritha

৮. সারিয়্যা জায়েদ ইবনে হারিসা

 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক প্রেরিত সারিয়্যা : ৮

তারিখ তৃতীয় হিজরির জুমাদাল উলা/জুমাদাল উখরা।
অবস্থান কারাদা (যাতু-ইরক প্রান্তরের নজদ এলাকার রাবাহ ও গামারাহ-এর মধ্যবর্তী একটি জলাশয়)।
ফলাফল আনুমানিক এক লক্ষ দিরহাম মূল্যের রৌপ্য সম্পদ মুসলমানগণ গনিমতরূপে লাভ করেন।

 

 

কারণ বাণিজ্য বহর প্রতিরোধ।

 

 

বিবাদমান পক্ষ
মুসলমান কুরাইশ
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
আবু উসামা জায়েদ ইবনে হারিসা। সাফওয়ান ইবনে উমাইয়া।
শক্তি
অশ্বারোহী বাহিনী বাণিজ্য বহর
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পথপ্রদর্শক ফুরাত ইবনে হাইয়ান এবং আরও দুইজন বন্দি হয়।

 

পরিচয়

 

সারিয়্যা জায়েদ ইবনে হারিসা যুদ্ধাভিযানটি বিশিষ্ট সাহাবি আবু উসামা জায়েদ ইবনে হারিসা ইবনে শারাহি, মতান্তরে শারাজিলের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়েছিল বিধায় এটিকে সারিয়্যা জায়েদ ইবনে হারিসা নামে অভিহিত করা হয়।[1] ইমাম জুহরি রহ. বলেন, ‘ইসলামের প্রারম্ভিক সময়ে জায়েদ ইবনে হারিসা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে পুত্রস্নেহে লালন-পালন করেন। তিনি বদরযুদ্ধসহ ইসলামের বড় বড় জিহাদে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং পঞ্চান্ন বছর বয়সে মুতার যুদ্ধে (৬২৯ খ্রিষ্টাব্দ) সেনাপতি হিসেবে শহিদ হন।’[2]

বদরের যুদ্ধে গৌরবময় বিজয় মুসলমানদের ঈমানি চেতনায় শক্তি সঞ্চার করেছিল এবং কুরাইশ তথা কাফের-মুশরিকদের মানসিকভাবে হতবিহ্বল ও দুর্বল করে দিয়েছিল। তারা মুসলমানদের নাগালের বাইরে থেকে বদর যুদ্ধের প্রতিশোধ গ্রহণ, যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ এবং নতুন ও ভিন্ন পথে বাণিজ্য বহর পরিচালনার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এই প্রেক্ষাপটে তৃতীয় হিজরির জুমাদাল উখরা মাসে উক্ত যুদ্ধ সংঘটিত হয়।[3] হাফেজ ইবনে কাসির রহ.-এর বর্ণনা অনুযায়ী যুদ্ধটি ৩য় হিজরির জুমাদাল উলা মাসে সংঘটিত হয়েছিল।[4] উহুদ যুদ্ধের পূর্বে এটিই ছিল মুসলমানদের সর্বশেষ সফল সমরাভিযান।

ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ

 

বদরের যুদ্ধে শোচনীয় পরাজয়ে কুরাইশরা দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগের মধ্য দিয়ে কালাতিপাত করতে লাগল। গ্রীষ্মকালে শাম বা সিরিয়ায় বাণিজ্যিক সফরের সময় সমাগত হলে তাদের দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠা বৃদ্ধি পেয়ে অধিক তীব্রতর হলো। কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় তারা ভীত-বিহ্বল হয়ে পড়ল। ওই বছর সাফওয়ান ইবনে উমাইয়াকে সিরিয়ায় গমনকারী বাণিজ্যিক কাফেলার আমির (দলনেতা) নিযুক্ত করা হয়েছিল। সাফওয়ান কুরাইশদের সমবেত করে বলল, ‘মুহাম্মাদ ও তার অকুতোভয় সঙ্গীরা আমাদের বাণিজ্য রাস্তা কণ্টকাকীর্ণ করে তুলেছে। তারা সমুদ্র উপকূলবর্তী রাস্তাসমূহের প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। উপরন্তু উপকূলের বাসিন্দারা তাদের সাথে সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ হয়ে মিত্র শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। সাধারণ লোকেরাও তাদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। এমতাবস্থায় তাদের সাথে কীভাবে মোকাবেলা করব বা বাণিজ্যিক ব্যাপদেশে নতুন কোনো রাস্তা অবলম্বন করব—তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। আর বাণিজ্যিক সফর পরিহার করে যদি আমরা নিজ নিজ বাড়িতেই বসে থাকি, তবে যেতে যেতে এক দিন মূলধনও শেষ হয়ে যাবে, কিছুই বাকি থাকবে না। কারণ গ্রীষ্ম মৌসুমে সিরিয়ার সাথে এবং শীতকালে আবিসিনিয়ার সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখার উপরই আমাদের জীবিকা নির্ভরশীল।’[5]

আরো পড়ুন : সারিয়্যা কাআব ইবনে উমায়ের আল-গিফারি – Expedition of Ka’b ibn ‘Umair al-Ghifari

আরো পড়ুন : সারিয়্যা কাআব ইবনে উমায়ের আল-গিফারি রা. – Sariya Ka’ab ibn Umair al-Ghifari

আরো পড়ুন : সারিয়্যা কুতবা ইবনে আমের – Expedition of Qutbah ibn Amir

মানচিত্র (১৯) : জায়েদ ইবনে হারিসা রাযিয়াল্লাহু আনহু-র বিভিন্ন সারিয়্যার স্থান

মানচিত্র () : সারিয়্যা জায়েদ ইবনে হারিসা স্থান

সাফওয়ান ইবনে উমাইয়ার এই উক্তি ও প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি নিয়ে কুরাইশদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা ও চিন্তা-গবেষণা শুরু হয়ে গেল। শেষ পর্যায়ে আসওয়াদ ইবনে আবদুল মুত্তালিব সাফওয়ানকে এই বলে পরামর্শ দিল, ‘তুমি উপকূলের আশঙ্কাময় ও বিপদসংকুল রাস্তা ছেড়ে দিয়ে ইরাকের রাস্তা ধরে বাণিজ্য বহর পরিচালনা করো।’ ইরাকের এই রাস্তাটি ছিল অত্যন্ত সুদীর্ঘ। রাস্তাটি মদিনার পূর্ব দিক দিয়ে অতিক্রান্ত হয়েছে এবং নজদ হয়ে সিরিয়া পর্যন্ত চলে গেছে। রাস্তাটি কুরাইশদের কাছে অনেকটা অপরিচিত ছিল। তাই আসওয়াদ ইবনে আবদুল মুত্তালিব সাফওয়ানকে পরামর্শ দিল, বকর ইবনে ওয়াইল গোত্রের ফুরাত ইবনে হাইয়ানকে পথপ্রদর্শক হিসেবে গ্রহণ করার জন্য।[6]

সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে কুরাইশদের বাণিজ্য কাফেলা ইরাকের নতুন পথ ধরে সাফওয়ান ইবনে উমাইয়ার নেতৃত্বে সিরিয়াভিমুখে যাত্রা শুরু করল। পরামর্শ মোতাবেক তারা বনু বকর ইবনে ওয়াইল গোত্রের ফুরাত ইবনে হাইয়ানকে অর্থের বিনিময়ে পথপ্রদর্শক হিসেবে সাথে নিল। ইবনে হিশাম রহ. বলেন, ‘ফুরাত ইবনে হাইয়ান ছিল বনু উজাল গোত্রের লোক ও বনু সাহমের মিত্র।’[7]

আরো পড়ুন : সারিয়্যা উম্মু কিরফা – Killing of Umm Qirfa

আরো পড়ুন : সারিয়্যা উয়ায়না ইবনে হিসন আল-ফাজারি – Expedition of Uyainah bin Hisn

আরো পড়ুন : সারিয়্যা উসামা ইবনে জায়েদ – Expedition of Usama bin Zayd

কুরাইশদের এই বাণিজ্য সফরে আবু সুফিয়ান ইবনে হারব, হুয়াইতিব ইবনে আবদুল উযযা এবং আবদুল্লাহ ইবনে আবু রাবিআও অংশগ্রহণ করেছিল। এই কাফেলায় অনেক রৌপ্য ও রৌপ্যের বাসনপত্র ছিল, যার ওজন ছিল ত্রিশ হাজার দিরহামের সমপরিমাণ।[8] কুরাইশদের এই অভিযানের সংবাদ সালিত ইবনে নুমানের মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্রুত অবহিত হলেন। ঘটনার বিবরণ এরূপ, নাঈম ইবনে মাসউদ মদিনায় এলো। তার কাছে কুরাইশদের বাণিজ্য অভিযানের সংবাদ ছিল। সে ছিল বিধর্মী, মদিনায় এসে বা নাজির গোত্রের কিনানা ইবনে আবুল হুকাইকের সাথে সখ্য স্থাপন করল। তাদের সাথে ছিল সম্প্রতি ইসলাম কবুলকারী সালিত ইবনে নুমান।[9] তারা এক মদ্যপানের আসরে উপস্থিত হয়ে শরাব পান করে (ঘটনাটি মদ নিষিদ্ধ হওয়ার পূর্বের)। যখন নাঈম মাদকতায় চরমভাবে আচ্ছন্ন হয়ে হিতাহিত জ্ঞানহীন হয়ে পড়ল, তখন সে নতুন পথে কুরাইশ কাফেলার বাণিজ্যিক সফর ও তাদের অভিপ্রায়ের কথা ফাঁস করে দিল। সালিত ইবনে নুমান রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা শুনে তৎক্ষণাৎ দ্রুত গতিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে উপস্থিত হয়ে সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করলেন।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সংবাদ জানতে পেরে সাথে সাথে আক্রমণের সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করলেন। তিনি একশত অশ্বারোহীর একটি বাহিনী জায়েদ ইবনে হারিসা রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর নেতৃত্বে তাদের প্রতিহত করার জন্য প্রেরণ করলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে এই সমরাভিযানে অংশগ্রহণ করেননি। জায়েদ ইবনে হারিসা রাযিয়াল্লাহু আনহু অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে দ্রুত গতিতে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করলেন। কুরাইশ কাফেলা সম্পূর্ণ অসতর্ক অবস্থায় কারাদা নামক একটি প্রস্রবণের নিকট শিবির স্থাপনের নিমিত্ত অবতরণ করেছিল। কারাদা হলো যাতু-ইরক প্রান্তরের নজদ এলাকার রাবাহ ও গামারাহ-এর মধ্যবর্তী একটি জলাশয়ের নাম।[10] ইবনুল-আসির ওই স্থানটির নাম ‘ফারদা’ বলে উল্লেখ করেন।[11]

জায়েদ ইবনে হারিসা রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর বাহিনী ওই জলাশয়ের কাছে কুরাইশ কাফেলার মোকাবেলা করলেন। অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে তারা কাফেলার উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ লাভ করলেন। দলনেতা সাফওয়ানসহ অধিকাংশ কুরাইশ সদস্য সকল মালামাল ছেড়ে পলায়ন পূর্বক জীবন রক্ষা করল। কিন্তু কাফেলার পথপ্রদর্শক ফুরাত ইবনে হাইয়ান এবং কথামতে অন্য আরও দুইজন লোক মুসলিম বাহিনীর হাতে ধৃত হলো।

কাফেলা থেকে প্রাপ্ত আনুমানিক এক লক্ষ দিরহাম মূল্যের রৌপ্য সম্পদ মুসলমানগণ গনিমতরূপে লাভ করলেন এবং উট বোঝাই করে সমস্ত মালামাল রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে এনে উপস্থিত করলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিধি মোতাবেক এক-পঞ্চমাংশ পৃথক করে বাকি সম্পদ অভিযানে শরিক সৈনিকদের মধ্যে বণ্টন করলেন। বণ্টিত ওই এক-পঞ্চমাংশ সম্পদের মূল্যের পরিমাণ ছিল তেইশ বা পঁচিশ হাজার দিরহাম।[12] ফুরাত ইবনে হাইয়ানকে বন্দি অবস্থায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত করা হয়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘যদি তুমি ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হও, তবে তোমাকে ছেড়ে দেব, অন্যথায় মৃত্যুদণ্ডই হবে তোমার একমাত্র শাস্তি।’ অতঃপর ফুরাত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে ইসলাম কবুল করলেন।[13]

ইবনে হিশাম রহ. বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবি হাসসান ইবনে সাবিত রাযিয়াল্লাহু আনহু উহুদের পর দ্বিতীয় বদরের যুদ্ধে কুরাইশদের ওই ভিন্ন ও নতুন পথ অবলম্বনের কারণে ভর্ৎসনা করে নিম্নোক্ত কবিতা আবৃত্তি করেন,

دَعُوا فَلَجَاتِ الشَّامِ قَدْ حَالَ دُونَهَا … جَلَّادٌ كَأَفْوَاهِ الْمَخَاضِ الْأَوَارِكِ

بِأَيْدِي رِجَالٍ هَاجَرُوا نَحْوَ رَبِّهِمْ … وَأَنْصَارِهِ حَقًّا وَأَيْدِي الْمَلَائِكِ

إذَا سَلَكْتَ لِلْغَوْرِ مِنْ بَطْنِ عَالِجٍ … فَقُولَا لَهَا لَيْسَ الطّريق لَك

‘তোমরা সিরিয়ার ক্ষুদ্ৰ নিৰ্বরণীগুলো এখন ছেড়ে দাও, কেননা তার (এবং তোমাদের) মাঝে এমন তীক্ষ্ণ (তরবারি) অন্তরায় হয়ে গেছে, যা পিলুবৃক্ষ ভক্ষণকারিণী অন্তঃসত্তা উটনীর মুখের মতো ভয়ংকর। (সেইসব তরবারি) ওইসব লোকের হাতে রয়েছে যারা স্বীয় প্রতিপালক ও প্রকৃত সাহায্যকারীদের দিকে হিজরত করেন এবং তা রয়েছে ফেরেশতাদের হাতে। মরু এলাকার নিম্নভূমির দিকে যে কাফেলা চলবে, তাদের বলে দাও যে, এই দিকে কোনো রাস্তা নেই।’[14]

বদর যুদ্ধের পরে এই ঘটনাই ছিল কুরাইশদের নিকট সর্বাপেক্ষা বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক। এই পরাজয় ও ব্যর্থতার পর তাদের উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠা বহু গুণ বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। তাদের সামনে দুটি মাত্র পথ খোলা থাকে। হয় তারা গর্ব ও অহংকার পরিত্যাগ করে মুসলমানদের সাথে সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ হবে, নতুবা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে পরবর্তী যুদ্ধে বিরাট সাফল্য অর্জন পূর্বক নিজেদের গৌরব ও মর্যাদা ফিরিয়ে আনবে এবং মুসলমানদের মূলোৎপাটিত করবে। মক্কাবাসী কুরাইশগণ এই দ্বিতীয় পথটিই বেছে নিল। এই ঘটনার পর কুরাইশদের প্রতিশোধ গ্রহণের উত্তেজনা আরও তীব্রতর হলো। তারা মুসলমানদের সাথে মোকাবেলা করার জন্য পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে দিল। পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠিত উহুদ যুদ্ধের এটিও একটি কারণ ছিল।[15]

আরো পড়ুন : সারিয়্যা ঈস/জায়েদ ইবনে হারিসা রা. – Expedition of Zayd ibn Harithah (Al-Is)

আরো পড়ুন : সারিয়্যা উক্কাশা ইবনে মিহসান রা. – Expedition of Ukasha bin Al-Mihsan

আরো পড়ুন : সারিয়্যা উমর ইবনুল খাত্তাব রা. – Expedition of Umar ibn al-Khatab

এই যুদ্ধাভিযানের ফলে মুসলমানদের শক্তি-সাহস সকল দিক থেকে বেড়ে গেল। অনেক মুশরিক ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিতে লাগল। ফলে ক্রমান্বয়ে ইসলামের প্রচার ও প্রসার বেগবান পেতে থাকে।

তথ্যসূত্র

[1]. উসদুল গাবাহ : ৩/২৭

[2]. আল-ইসাবাহ : ২/৪৯

[3]. ওয়াকিদি, কিতাবুল মাগাজি : ১/১৯৭; ইবনু সাদ, আত-তাবাকাতুল কুবরা : ২/৩৬

[4]. ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া : ২২/৬

[5]. মোবারকপুরি, আর-রাহিকুল মাখতুম : ২৭৪; ওয়াকিদি, কিতাবুল মাগাজি : ১/১৯৭

[6]. মোবারকপুরি, আর-রাহিকুল মাখতুম : ২৭৪

[7]. ইবনে হিশাম, আস-সিরাতুন নাবাবিয়্যা : ১/৬৫১

[8]. ইবনুল আসির, তারিখুল কামিল : ২/৪০; ইবনু সাদ, আত-তাবাকাতুল কুবরা : ২/৩৬

[9]. ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া : ২/৬

[10]. ইবনু সাদ, আত-তাবাকাতুল কুবরা : ২/৩৬; ইবনে ইসহাক, সিরাতে রাসুল (বাংলা) : ৩/২২১

[11]. তারিখুল কামিল : ২/৪১

[12]. সিরাতে মুহাম্মাদিয়া, আল-মাওয়াহিবুল-লাদুন্নিয়া : ১/৩৫৪

[13]. তাবাকাতুল কুবরা : ২/৩৬; তারিখুত তাবারি : ২/১৮৩

[14]. ইবনে হিশাম, আস-সিরাতুন নাবাবিয়্যা : ২/৩০৯

[15]. মোবারকপুরি, আর-রাহিকুল মাখতুম : ২৪৭

শেয়ার করুন

সূচীপত্র

error: Content is protected !!