সিরাত বিশ্বকোষ
সিরাত বিশ্বকোষ

২৭. (১৫) গাজওয়া যাতুর-রিকা  – Expedition of Dhat al-Riqa

২৭. (১৫) গাজওয়া যাতুর-রিকা – Expedition of Dhat al-Riqa

১৫. গাজওয়া যাতুর -রিক

 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নেতৃত্বে সংঘটিত গাজওয়া : ১৫

তারিখ জুন-জুলাই, ৬২৫ খ্রিষ্টাব্দ; রবিউল আওয়াল- জুমাদাল উলা, ৭ হিজরি
অবস্থান যাতুর-রিকা
ফলাফল শত্রুরা পালিয়ে যায় কিংবা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বিবাদমান পক্ষ
মুসলমান বনু গাতফান
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অজ্ঞাত
শক্তি
৪০০ বা ৮০০ অজ্ঞাত

এই গাজওয়ার প্রসিদ্ধ নাম হলো غَزْوَةِ ذَاتِ الرِّقَاعِ ‘গাজওয়া যাতির-রিকা’। এই ব্যাপারে ইমাম বুখারির অভিমত হলো,

(غَزْوَةُ مُحَارِبِ خَصَفَةَ مِنْ بَنِي ثَعْلَبَةَ مِنْ غَطَفَانَ)

‘গাজওয়া যাতুর-রিকা হলো গাজওয়া মুহারি খাসফা।’[1]

আল্লামা হালাবি বলেন, ‘এই গাজওয়ার নাম হলো গাজওয়া যাতির-রিকা, গাজওয়াতুল আ’আজিব, গাজওয়া মুহারিব, গাজওয়া বনি সালাবা ও গাজওয়া বানিল আনমার। এই নামগুলোর মধ্যে হালাবি কেবল গাজওয়াতুল আ’আজিব নামের কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, যেহেতু এই গাজওয়ায় বিস্ময়কর অনেকগুলো ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল, এজন্য সেটাকে এই নামে অভিহিত করা হয়।’[2] যাতুর-রিকা নামকরণের অনেকগুলো কারণ সিরাতবিদগণ উল্লেখ করেন। ওয়াকিদি রহ. বলেন, ‘তা হলো এমন একটি পাহাড়; যার কিছু অংশ লাল, কিছু কালো এবং কিয়দংশ শ্বেত বর্ণের। বহু বর্ণযুক্ত কোনো বস্তুকে আরবিতে রিকা বলা হয়।’ উক্ত অভিযানকে এই কারণেই যাতুর-রিকা বলে নামকরণ করা হয়। আবু মুসা আল-আশআরি রাযিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত হাদিস থেকে উক্ত নামকরণের ভিন্ন হেতু উল্লেখ রয়েছে। হাদিসটির প্রাসঙ্গিক অংশটি হলো,

«خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةٍ وَنَحْنُ سِتَّةُ نَفَرٍ، بَيْنَنَا بَعِيرٌ نَعْتَقِبُهُ، فَنَقِبَتْ أَقْدَامُنَا، وَنَقِبَتْ قَدَمَايَ، وَسَقَطَتْ أَظْفَارِي، وَكُنَّا نَلُفُّ عَلَى أَرْجُلِنَا الخِرَقَ، فَسُمِّيَتْ غَزْوَةَ ذَاتِ الرِّقَاعِ، لِمَا كُنَّا نَعْصِبُ مِنَ الخِرَقِ عَلَى أَرْجُلِنَا»

‘আমাদের নিকট মাত্র একটি উট ছিল। আমরা পালাক্রমে তার উপর সওয়ার হতাম। ফলে আমাদের পা-গুলো ফেটে গিয়েছিল। আমার উভয় পা ফেটে গিয়ে পায়ের নখগুলো পর্যন্ত পড়ে গিয়েছিল। ফলে আমরা আমাদের পা-গুলোতে কাপড়ের টুকরা জড়িয়ে নিয়েছিলাম। এই কারণে এই অভিযানকে যাতুর-রিকা বলা হয়।’[3]

বিজ্ঞাপন

আরো পড়ুন : সারিয়্যা আলি ইবনে আবি তালিব (1) – Expedition of Ali ibn Abi Talib

আরো পড়ুন : সারিয়্যা আলি ইবনে আবি তালিব রা. (3) – Expedition of Ali ibn Abi Talib

আরো পড়ুন : সারিয়্যা ইবনে আবিল আওজা – Expedition of Ibn Abi Al-Awja Al-Sulami

আল্লামা ইবনে সায়্যিদিন নাস বলেন, ‘যাতুর-রিকা হিসেবে এই যুদ্ধের নাম প্রসিদ্ধি লাভের কারণ হলো, এই যুদ্ধের পতাকায় অনেকগুলো তালি সংযুক্ত ছিল। এটিও কথিত আছে, সেখানকার একটি বৃক্ষের নাম ছিল রিকা। এজন্য সেটাকে এই নামে অভিহিত করা হয়।’[4] গাজওয়া মুহারিব, গাজওয়া বনি সালাবা এবং গাজওয়া বা আনমার—এই সকল নাম গোত্রের প্রতি প্রযুক্ত হয়ে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে।

মানচিত্র (২৮) : যাতুর রিকা অভিযান স্থল

 

যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান

 

বনু মুহারিব ও বনু সালাবা ছিল গাতফান গোত্রের দুটি উপগোত্র। তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছিল।[5] ওয়াকিদি রহ. বলেন, জনৈক আগন্তুক মদিনায় কোনো একটি জিনিস ক্রয় করতে এসে সংবাদ দিল, ‘মুসলমানদের বিরুদ্ধে আমি আনমার ও সালাবা গোত্রের লোকদেরকে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে দেখে এসেছি। অথচ আপনারা এই ব্যাপারে গাফেল রয়েছেন।’ এই সংবাদ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট পৌঁছালে তিনি চারশত সাহাবি সঙ্গে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযনে রওনা করলেন। কেউ কেউ বলেছেন, সাহাবিগণের সংখ্যা ছিল সাতশত। আবার কেউ বলেছেন, সাহাবিগণের সংখ্যা ছিল আটশত।’[6]

যুদ্ধের সময়কাল

 

এই যুদ্ধের মাস ও সন নির্ধারণ একটি জটিল ব্যাপার। কেননা এই ব্যাপারে সর্বজনস্বীকৃত কোনো অভিমত পাওয়া যায় না। প্রথমত, মাস নির্ণয়। এই সম্পর্কে তিনটি অভিমত রয়েছে। ওয়াকিদির মতে, ‘একাদশ মুহাররম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই অভিযানে রওনা করেছিলেন।’[7] ইবনে ইসহাক রহ.-এর মতে, ‘বনু নাজির গোত্রের সাথে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রবিউল আওয়াল মাস মদিনায় অবস্থান করার পর এই যুদ্ধে রওনা করেন। সেই হিসেবে তা ছিল রবিউস সানি মাস।’ আল্লামা হালাবি বলেন, ‘ইবনে ইসহাক ছাড়া অন্যরা বলেছেন, বনু নাজির গোত্রের সাথে যুদ্ধের পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রবিউল আওয়াল ও রবিউস সানি ও জুমাদাল উলা মাসের কিছুদিন পর এই যুদ্ধে রওনা করেছিলেন। এই উক্তি অনুযায়ী এই যুদ্ধ জুমাদাল উলা মাসে সংঘটিত হয়েছিল।’[8]

আরো পড়ুন : সারিয়্যা আলকামা ইবনে মুজাযিয আল-মুদলিজী – Expedition of Alkama Ibn Mujaziz Al-Mudliji

আরো পড়ুন : সারিয়্যা আল-কুররা বি’র মাউনা – Expedition of Bir Maona

আরো পড়ুন : সারিয়্যা আলি ইবনে আবি তালিব ( ) – Expedition of Ali ibn Abi Talib (2)

এই যুদ্ধ হিজরি কোন সনে এবং কোন যুদ্ধের পর সংঘটিত হয়েছিল তাতেও মতভেদ রয়েছে। কিছু দিন মদিনায় অবস্থান করার পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই অভিযানে রওনা করেন।[9] ওয়াকিদির মতে, ‘এই গাজওয়ায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহাররম মাসে রওনা করেছিলেন আর তা ছিল মুহাররমের দশ তারিখ।[10] এই গাজওয়া কোন সনে সংঘটিত হয়েছিল, তা নির্ণয় করা কঠিন। সামঞ্জস্য বিধানের জন্য অনেককে এরূপ অভিমতও পোষণ করতে দেখা যায়, গাজওয়া যাতির-রিকা ছিল দুটি গাজওয়ার নাম। একটি সংঘটিত হয়েছিল খায়বার যুদ্ধের পর। মাগাজি সম্পর্কিত বেশির ভাগ গ্রন্থের বিবরণমতে এই যুদ্ধ বনু নাজির যুদ্ধের দুই বা তিন মাস পর হিজরি চতুর্থ সনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু এই মতের বিপরীতে আবু মুসা আল-আশআরি রাযিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত আছে, তিনি এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। হাদিসটি বুখারিমুসলিমসহ অন্যান্য বিশুদ্ধ হাদিস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। এই বর্ণনা অনুযায়ী এটিও মেনে নিতে হবে, এটি খায়বার যুদ্ধের পর সপ্তম হিজরিতে সংঘটিত হয়েছিল। কারণ এই কথা স্বীকৃত যে, আবু মুসা আশআরি রাযিয়াল্লাহু আনহু খায়বার যুদ্ধের সময় মদিনায় ফিরেছিলেন। তার পূর্ব পর্যন্ত তিনি হাবশায় অবস্থানরত ছিলেন।

এই মতপার্থক্য নিরসন করতে গিয়ে কেউ কেউ বলেছেন, মুহারিব বা যাতুর-রিকা নামে দুটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। একটি খায়বার যুদ্ধের পূর্বে আর অপরটি খায়বার যুদ্ধের পরে। আবার কেউ কেউ সিরাতবিদদের অভিমতকে অগ্রাধিকার দিয়ে বলেছেন, ‘আবু মুসা আশআরি রাযিয়াল্লাহু আনহু আসলে এই যুদ্ধে সশরীরে অংশগ্রহণ করেননি, বরং তিনি যা বর্ণনা করেন তা অন্যান্য অংশগ্রহণকারী সাহাবিদের বরাতে বর্ণনা করেন।’[11] কিন্তু এই উক্তি একেবারে বাস্তবতা বিরোধী। কারণ তার বিবরণের ভাষা হলো এমন—‘আমরা ছয়জন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে রওনা করলাম। আমাদের মাত্র একটি উট ছিল। আমরা পালাক্রমে তার উপর সওয়ার হতাম।’[12] ইমতাউল আসমা গ্রন্থে বলা হয়েছে,

وقد قال بعض من أرخ: إن غزوة ذات الرقاع أكثر من مرة، فواحدة كانت قبل الخندق، وأخرى بعدها: أي وبعد خيبر.

‘কতিপয় ঐতিহাসিকের মতে যাতুর-রিকা যুদ্ধ একাধিকবার সংঘটিত হয়েছিল। একবার খন্দক যুদ্ধের পূর্বে আর অন্যবার খন্দক তথা খায়বার যুদ্ধের পর সংঘটিত হয়েছিল।’[13]

মদিনায় স্থলাভিষিক্ত নিযুক্তি

 

এই অভিযানে রওনা করার প্রাক্কালে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় আবু যর গিফারি রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে স্থলাভিষিক্ত নিযুক্ত করে যান। মতান্তরে উসমান ইবনে আফফান রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে স্থলাভিষিক্ত নিযুক্ত করা হয়। ইবনে আবদিল বার বলেন, ‘অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের অভিমত হলো, উসমান রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে স্থলাভিষিক্ত নিযুক্ত করা হয়। কেননা আবু যর রাযিয়াল্লাহু আনহু মক্কায় ইসলাম গ্রহণ করার পর তার স্বগোত্রীয় আবাসভূমিতে চলে যান। অতঃপর বদর, উহুদ ও খন্দক যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার পর তিনি মদিনায় হিজরত করেন। সুতরাং তার খলিফা নিযুক্ত হওয়ার অভিমত সংশয়মুক্ত নয়।’ এই অভিমতের ব্যাপারে হালাবি বলেন, ‘ইবনে আবদিল বার-এর এই সংশয় কেবল তখনই প্রাসঙ্গিক হবে, যখন এই কথা মেনে নিয়ে হবে যে, যাতুর-রিকা খন্দক যুদ্ধের পূর্বে সংঘটিত হয়েছিল। তা খন্দক ও খায়বার পরবর্তী ঘটনা বলে স্বীকার করলে তো আর সংশয় সৃষ্টির অবকাশ নেই।’[14] মদিনা থেকে রওনা করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল-মুদীক নামক জনপদে যাত্রা বিরতি করলেন। অতঃপর সেখান থেকে শুকরা উপত্যকায় পৌঁছে সেখানে একদিন অবস্থান করলেন। সেখান থেকে যুদ্ধের কার্যক্রম শুরু হয়।

প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছোট ছোট দলে বিভক্ত করে সেখানকার অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য লোক প্রেরণ করা হয়। তারা ফিরে এসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খবর দিল, সেখানে তারা কোনো মানুষ দেখতে পায়নি। তবে এলাকা ত্যাগ করার নতুন নতুন পদক্ষেপ তারা দেখতে পেয়েছে।[15]

আরো পড়ুন : সারিয়্যা আবুল হাদরাদ – Expedition of Abi Hadrad al-Aslami

আরো পড়ুন : সারিয়্যা আমর ইবনুল আস – Expedition of Amr ibn al-As

আরো পড়ুন : সারিয়্যা আমর ইবনে উমাইয়া আদ-দামরি রা. – Expedition of Amr bin Umayyah al-Damri

সালাতুল খাওফের বিধান প্রবর্তন

 

অধিকাংশ সিরাত ও হাদিসবিদদের অভিমত হলো, সালাতুল খাওফের বিধান এই যুদ্ধের সময় প্রবর্তিত হয়। কিন্তু কেউ কেউ দ্বিমত পোষণ করেন। এই মতানৈক্যের ভিত্তি হলো যাতুর-রিকা যুদ্ধের সময় নির্ধারণের উপর। যেহেতু এই যুদ্ধের সময় নির্ধারণে প্রবল মতপার্থক্য রয়েছে, ফলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বপ্রথম কোন যুদ্ধে সালাতুল খাওফ পড়েছিলেন, তার ব্যাপারেও সর্বসম্মত কোনো অভিমত নেই।

আল্লামা নববি বলেন, ‘সালাতুল খাওফ গাজওয়া যাতুর-রিকা অথবা গাজওয়া বা নাজিরে প্রবর্তিত হয়েছিল।’[16] ইবনুল কায়্যিম বলেন, ‘যাতুর-রিকা যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বপ্রথম সালাতুল খাওফ পড়েছিলেন এরূপ উক্তি ঠিক নয়। কারণ, ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. ও সুনান গ্রন্থসমূহের সংকলকগণ আবু আয়্যাশ আয-যুরাকী রাযিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে এবং ইমাম তিরমিজি আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণনা করেন, সর্বপ্রথম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গাজওয়া উসফানে সালাতুল খাওফ আদায় করেছিলেন।’[17]

আল্লামা ইবনুল কায়্যিমের এরূপ উক্তির মূলে রয়েছে তার অপর আরেকটি অভিমত, গাজওয়া যাতুর-রিকা গাজওয়া উসফান ও গাজওয়া খায়বারের পরবর্তী ঘটনা। যদি বাস্তবে এরূপ হয়ে থাকে, তাহলে তার কথার সারমর্ম হলো, সালাতুল খাওফের বিধান প্রবর্তিত হয়েছে উসফান যুদ্ধে, আর দ্বিতীয়বার তা আদায় করা হয় যাতুর-রিকা যুদ্ধে।

কিন্তু কয়েকটি হাদিস এরূপও বর্ণিত পাওয়া যায়, যার দ্বারা এই সালাতুল খাওফ সর্বপ্রথম যাতুর-রিকা যুদ্ধেই প্রবর্তিত হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। ওয়াকিদি জাবির ইবনে আবদিল্লাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণনা করেন,

قَالَ: فَكَانَ أَوّلَ مَا صَلّى يَوْمَئِذٍ صَلَاةُ الْخَوْفِ، وَخَافَ أَنْ يُغِيرُوا عَلَيْهِ وَهُمْ فِي الصّلَاةِ وَهُمْ صُفُوفٌ.

‘তিনি বলেন, এই দিনই সর্বপ্রথম রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতুল খাওফ আদায় করেন। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন, শত্রুপক্ষ নামাজে কাতারবদ্ধ অবস্থায় মুসলিম বাহিনীর উপর আক্রমণ করে বসতে পারে।’[18]

ইমাম বুখারি স্বীয় সালিহ ইবনে খাওয়াত সূত্রে একাধিক সনদে এই সম্পর্কিত যেই হাদিস বর্ণনা করেন তা থেকেও প্রতীয়মান হয়, সালাতুল খাওফের বিধান সর্বপ্রথম এই যুদ্ধেই প্রবর্তিত হয়েছিল। হাদিসটি হলো,

عَنْ صَالِحِ بْنِ خَوَّاتٍ، عَمَّنْ شَهِدَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ ذَاتِ الرِّقَاعِ صَلَّى صَلاَةَ الخَوْفِ: أَنَّ طَائِفَةً صَفَّتْ مَعَهُ، وَطَائِفَةٌ وِجَاهَ العَدُوِّ، فَصَلَّى بِالَّتِي مَعَهُ رَكْعَةً، ثُمَّ ثَبَتَ قَائِمًا، وَأَتَمُّوا لِأَنْفُسِهِمْ ثُمَّ انْصَرَفُوا، فَصَفُّوا وِجَاهَ العَدُوِّ، وَجَاءَتِ الطَّائِفَةُ الأُخْرَى فَصَلَّى بِهِمُ الرَّكْعَةَ الَّتِي بَقِيَتْ مِنْ صَلاَتِهِ ثُمَّ ثَبَتَ جَالِسًا، وَأَتَمُّوا لِأَنْفُسِهِمْ، ثُمَّ سَلَّمَ بِهِمْ [19]

এই হাদিসে সালাতুল খাওফ আদায় করার বর্ণনার সাথে তা আদায় করার পদ্ধতির কথাও উল্লেখ রয়েছে। যদি তার পূর্ববর্তী বা পরবর্তী কোনো যুদ্ধে এই সালাতুল খাওফ আদায় করা হতো, তাহলে এখানে তা আদায় করার বিস্তারিত নিয়মের অবতারণার প্রয়োজন হতো না।’

হালাবি বলেন, ‘গাজওয়া হুদায়বিয়ার প্রাক্কালে উসফান নামক স্থানে সালাতুল খাওফ আদায় করার কথাও বর্ণিত রয়েছে। তাতে কোনো বিপত্তি নেই। কারণ সালাতুল খাওফের ঘটনা একাধিকবার সংঘটিত হতে পারে। এই সম্ভাবনাকেও নাকচ করা যায় না যে, কিছুসংখ্যক বর্ণনাকারীর নিকট বিষয়টি অস্পষ্ট ছিল বিধায় সালাতুল খাওফ একাধিক ঘটনার সাথে সম্পর্কিত করা হয়েছে।’

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বুঝা যায়, সালাতুল খাওফের বিধান প্রথমে যাতুর-রিকা যুদ্ধে প্রবর্তিত হয়েছিল। এটিই সংখ্যাগরিষ্ঠ বিশেষজ্ঞগণের অভিমত। যদি যাতুর-রিকা যুদ্ধ খায়বার অভিযানের পরবর্তী ঘটনা হয়, তাহলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে এই যুদ্ধে সালাতুল খাওফ পড়েছিলেন, এরূপ অভিমত যথার্থ হবে না। কারণ, তার আগে উসফান নামক স্থানে তা আদায় করার প্রমাণ রয়েছে। আর যদি তা খায়বারের পূর্ববর্তী ঘটনা হয়, তাহলে সালাতুল খাওফ প্রথমে এই যুদ্ধে আদায় করার অভিমত যথার্থ।

সর্বপ্রথম কোন ওয়াক্তে সালাতুল খাওফ আদায় করা হয়েছিল—এই সম্পর্কে বর্ণিত আছে, জোহরের নামাজে যখন মুসলিম বাহিনীকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়েছিলেন, তখন মুশরিকরা আক্রমণ করার মনস্থ করেছিল। ইত্যবসরে জনৈক মুশরিক পরামর্শ দিল, আসরের নামাজ মুসলমানদের নিকট তাদের সন্তানাদির চেয়েও প্রিয়। সুতরাং তখনই আক্রমণ করা হোক। তাদের এই পরামর্শ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা জিবরাঈল আলাইহিস সালাম-কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ওহিসহ প্রেরণ করেন। ওহি লাভের পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের ওয়াক্তে সালাতুল খাওফ আদায় করেন।’[20]

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নৈশপ্রহরী

 

অভিযানশেষে মদিনায় ফেরার পথে কোনো একটি ঘাঁটিতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রিযাপন করলেন। সেখানে তিনি শত্রুগণের অতর্কিত আক্রমণের আশঙ্কা করেন। উপস্থিত সাহাবিদের তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমাদের মধ্যে আজ রাতে আমাদের প্রহরায় নিয়োজিত থাকতে কারা আগ্রহী?’ সে রাতে প্রচণ্ড বেগে মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হচ্ছিল। আব্বাদ ইবনে বিশর রাযিয়াল্লাহু আনহু ও আম্মার ইবনে ইয়াসির রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমরা সর্বাত্মকভাবে আপনাদের পাহারায় নিয়োজিত থাকব। অতঃপর তারা দুইজন ঘাঁটির প্রবেশ দ্বারে অবস্থান নিলেন।

রাতের কিয়দংশ অতিক্রান্ত হলে আব্বাদ ইবনে বিশর রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘আমি রাতের প্রথমভাগে পাহারার জন্য একাই যথেষ্ট। আপনি শেষভাগে পাহারা দেবেন। পাহারার সময় ভাগ-বণ্টন করার পর আম্মার ইবনে ইয়াসির রাযিয়াল্লাহু আনহু ঘুমিয়ে পড়লেন। অতঃপর আব্বাদ ইবনে বিশর রাযিয়াল্লাহু আনহু একাগ্রতার সাথে নামাজে দাঁড়িয়ে গেলেন।

আরো পড়ুন : সারিয়্যা আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ – Expedition of Abu Ubaidah ibn al Jarrah

আরো পড়ুন : সারিয়্যা আবু কাতাদা ইবনে রিবঈ – Expedition of Abu Qatadah ibn Rab’i al-Ansari (Batn Edam)

আরো পড়ুন : সারিয়্যা আবু সালামা – Expedition of Qatan

শত্রুপক্ষের অনুসরণকারী এক ব্যক্তি আব্বাদ ইবনে বিশর রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর ছায়া দেখে তার উদ্দেশে তির ছুড়ল। তিরটি তার শরীরে বিদ্ধ হলে তিনি তা খুলে ফেললেন। অতঃপর শত্রু আরও একটি তির মারল। তিনি তা-ও খুলে ফেললেন। পরপর তিনটি তির বিদ্ধ হওয়ার পর তার শরীর থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হতে লাগল। অতঃপর রুকু-সেজদার মাধ্যমে নামাজ শেষ করে তিনি আম্মার রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে ডেকে জাগ্রত করলেন। আম্মার রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে জাগ্রত দেখে তির নিক্ষেপকারী শত্ৰুটি পালিয়ে গেল। আম্মার রাযিয়াল্লাহু আনহু জাগ্রত হয়ে আব্বাদ রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে তাকে পূর্বেই না জাগানোর কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, ‘প্রথম তির নিক্ষেপের সময়ই যদি আমাকে জাগাতেন, তাহলে কি এমন অবস্থা হতো?’ আব্বাদ রাযিয়াল্লাহু আনহু জবাবে বললেন, ‘আমি নামাজে সুরা কাহফ পাঠ করছিলাম। আমি তার তেলাওয়াত পরিহার করে অন্য কিছুতে মনোনিবেশ করাকে পছন্দ করিনি। এজন্য আমি আপনাকে জাগ্রত করিনি।’[21]

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শত্রুর আশঙ্কা হয়েছিল কেন এবং শত্রু মুসলিম বাহিনীর পশ্চাৎ অনুসরণে উদ্যত হয়েছিল কেন? এই সম্পর্কে সিরাত গ্রন্থাবলির ভাষ্য একরকম নয়। আল্লামা দানাপুরি বলেন, ‘অভিযানশেষে ফেরার প্রাক্কালে জনৈক মুসলিম ব্যক্তি একটি কাফেরের স্ত্রীকে কটু বাক্য বলেছিলেন। লোকটি তখন বাড়িতে ছিল না। সে বাড়িতে ফেরার পর যখন বিষয়টি জানতে পারল, তখন সে শপথ করল যে, যতক্ষণ পর্যন্ত একজন মুসলিমকে হত্যা করে তার প্রতিশোধ গ্রহণ না করবে, ততক্ষণ সে ক্ষান্ত হবে না। এই সংকল্পেই সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সাহাবিগণের পশ্চাৎ অনুসরণ করেছিল।[22]

এখানে উল্লেখ্য, কেউ কেউ বলেছেন, প্রহরী দুই সাহাবির একজনের নাম ছিল উমারা ইবনে হাজম রাযিয়াল্লাহু আনহু। তবে ওয়াকিদি রহ. বলেন, ‘আমাদের নিকট সবচেয়ে প্রামাণ্য অভিমত হলো, তিনি আম্মার ইবনে ইয়াসির রাযিয়াল্লাহু আনহু-ই ছিলেন।’[23]

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হত্যার উদ্যোগ

 

গাতফান গোত্রের এক লোকের নাম ছিল গওরাস। মতান্তরে শব্দ সংকোচনের (তাসগির) মাধ্যমে তার নাম ছিল গুওয়ায়রিস ইবনুল হারেস। সে একদা তার গোত্রীয় লোকদের বলল, ‘আমি তোমাদের পক্ষ থেকে মুহাম্মাদকে হত্যা করি?’ তারা বলল, ‘হ্যাঁ, করতে পারো। তবে তা কী করে সম্ভব হবে?’ সে বলল, ‘তিনি যখন অসতর্ক অবস্থায় থাকবেন, তখন অতর্কিত আক্রমণ করে তাকে খতম করি।’ এই উদ্দেশ্য নিয়ে সে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এলো। সঙ্গী সাহাবায়ে কেরাম রাযিয়াল্লাহু আনহু বিক্ষিপ্তভাবে বৃক্ষরাজির শীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেন। জাবির রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, এমতাবস্থায় আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একাকী রেখে নিজ নিজ সুবিধামতো স্থানে আশ্রয় নিই। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় তরবারি গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখে শুয়ে পড়েন। আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়লে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের আহ্বান করেন। আমরা তৎক্ষণাৎ উপস্থিত হয়ে দেখতে পেলাম, এক বেদুঈন উপবিষ্ট রয়েছে। তিনি ওই লোকটির প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন, ‘সে আমার তরবারি ছিনতাই করেছে। আমার ঘুমন্ত অবস্থায় সে তা হাতে নিয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করে, আমার হাত থেকে আপনাকে এখন কে বাঁচাবে? আমি বললাম, আল্লাহ। সে তিনবার তা আমাকে জিজ্ঞাসা করল এবং তিনবারই আমি একই উত্তর দিলাম।’ এরই প্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালা অবতীর্ণ করেন,

يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اذْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ هَمَّ قَوْمٌ أَنْ يَبْسُطُوا إِلَيْكُمْ أَيْدِيَهُمْ فَكَفَّ أَيْدِيَهُمْ عَنْكُمْ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ (১১)

‘হে মুমিনগণ! তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ করো, যখন এক সম্প্রদায় তোমাদের বিরুদ্ধে হস্ত উত্তোলন করতে চেয়েছিল। তখন আল্লাহ তাদের হাত সংযত করেছিলেন।’ সুরা মায়েদা : ১১

হালাবি বলেন, যদিও এই ব্যাপারে উক্তি রয়েছে, আয়াতটি বনু নাজির গোত্রের জনৈক লোক যখন পাথর নিক্ষেপ করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হত্যা করার পায়তারা করেছিল, তখন আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। এই উভয় উক্তির মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। কারণ একটি আয়াত একাধিক ঘটনার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।

এখানে একটি প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই লোকটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ থেকে বিরত থাকলেন কেন? তার উত্তর হলো, তার দ্বারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইসলামের প্রতি অবিশ্বাসীদের আকর্ষণ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যেই তা করেছিলেন।[24] বাস্তবেও লোকটি মুক্তিপ্রাপ্তির পর তার গোত্রের কাছে ফিরে গিয়ে বলে, আমি দুনিয়ার সর্বোত্তম ব্যক্তির নিকট থেকে ফিরে এসেছি। অতঃপর সে ইসলাম গ্রহণ করে একজন সাহাবির মর্যাদা লাভ করে।

আরো পড়ুন : সাফওয়ানা অভিযান – First Expedition to Badr (Safwan)

আরো পড়ুন : সারিয়্যা আবদুল্লাহ ইবনে উনাইস রা. – Expedition of Abdullah Ibn Unais

আরো পড়ুন : সারিয়্যা আবদুল্লাহ ইবনে হুজাফা রা. – ‘Abdullah ibn Hudaffa

জাবির রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গেই ছিলাম। ইত্যবসরে আমরা দেখতে পেলাম একজন সাহাবি একটি পাখির ছানা ধরে নিয়ে এলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছানাটির দিকে তাকাচ্ছিলেন। ছানাটি এই সাহাবির হাতে থাকা অবস্থায় তার মাতাপিতা কিংবা তাদের যেকোনো একজন তার সম্মুখে এসে শুয়ে পড়ল। লোকজন এই দৃশ্য দেখে বিস্ময়াভিভূত হয়ে গেল।’ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তোমরা পাখিটির তদীয় ছানার প্রতি দয়ামায়া দেখে বিস্মিত হচ্ছো? আমি শপথ করে বলছি, এই পাখি তার ছানার জন্য যতটুকু দয়ামায়া দেখাচ্ছে, আল্লাহ তার বান্দাদের প্রতি এর থেকে অধিক দয়াবান।’[25]

তথ্যসূত্র

[1]. সহিহ বুখারি : ২/৫৯২

[2]. আস-সিরাতুল হালাবিয়্যা, বৈরূত : ২/২৭০

[3]. সহিহ বুখারি, কিতাবুল মাগাজি, বাব গাজওয়া যাতির-রিকা : ২/৫৯২ (৪১২৪)

[4]. ইবনু সাইয়্যিদিন নাস, উয়ুনুল আসার : ২/৫২

[5]. জুরকানি, শরহু মাওয়াহিবিল লাদুনিয়া : ২/৯১

[6]. ওয়াকিদি, কিতাবুল মাগাজি, প্রাগুক্ত।

[7]. ওয়াকিদি, কিতাবুল মাগাজি, প্রাগুক্ত।

[8]. হালাবি, প্রাগুক্ত।

[9]. হালাবি, প্রাগুক্ত।

[10]. ওয়াকিদি, কিতাবুল মাগাজি, প্রাগুক্ত।

[11]. হালাবি, প্রাগুক্ত

[12]. সহিহ বুখারি, প্রাগুক্ত

[13]. হালাবি, প্রাগুক্ত

[14]. হালাবি, প্রাগুক্ত।

[15]. আল-ওয়াকিদি, কিতাবুল মাগাজি, প্রাগুক্ত।

[16]. আবদুর রউফ দানাপুরি, আসাহহুস সিয়ার : ১২৬

[17]. দানাপুরি, প্রাগুক্ত

[18]. ওয়াকিদি, প্রাগুক্ত।

[19]. সহিহ বুখারি, প্রাগুক্ত : ২/৫৯২ (৪১২৯)

[20]. হালাবি, প্রাগুক্ত

[21]. হালাবি, প্রাগুক্ত

[22]. আসাহহুস সিয়ার, প্রাগুক্ত

[23]. ওয়াকিদি, প্রাগুক্ত

[24]. হালাবি, প্রাগুক্ত

[25]. ওয়াকিদি, প্রাগুক্ত।

শেয়ার করুন

সূচীপত্র

error: Content is protected !!