সিরাত বিশ্বকোষ
সিরাত বিশ্বকোষ

৩. (৩.) খাররার অভিযান  – Expedition of al-Kharrar

লেখক: আহমাদ রিফআত

বিষয় : বিষয়ভিত্তিক সিরাত

৩. (৩.) খাররার অভিযান – Expedition of al-Kharrar

৩. সারিয়্যা সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাযিয়াল্লাহু আনহু (খাররার অভিযান)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক প্রেরিত সারিয়্যা : ০৩
সাধারণ তথ্য
হিজরি ১ম বর্ষের জিলকদ মাস (মে ৬২৩ খ্রি.) তারিখ
কুরাইশদের একটি কাফেলার খোঁজ নেওয়া। যুদ্ধের কারণ
কুরাইশদের কাফেলা একদিন পূর্বেই এই স্থান অতিক্রম করে চলে যায়। ফলাফল
নেতৃত্ব
আবু জাহল-পুত্র ইকরিমা সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাযিয়াল্লাহু আনহু
শক্তি
একটি কাফেলা ২০ জন
নোট
এটি ইসলামের ইতিহাসের সর্বপ্রথম তিনটি অভিযানের একটি।

 

 

পরিচিতি ও সময়কাল

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশজন সাথিসহ সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে কুরাইশদের একটি কাফেলার খোঁজ নেওয়ার জন্য হিজরি ১ম বর্ষের জিলকদ (মে ৬২৩ খ্রি.) মাসে রওনা করেন। তাদের প্রতি নির্দেশ ছিল, তারা যেন কোনোক্রমেই খাররার নামক স্থানটি অতিক্রম না করেন। তারা পদব্রজে রওনা হন। সারা রাত ধরে পথ চলে দিনের বেলা তারা আত্মগোপন করে থাকতেন। পঞ্চম দিনের প্রত্যুষে খাররার পৌঁছে জানতে পারেন, কুরাইশদের কাফেলা একদিন পূর্বেই এই স্থান অতিক্রম করে চলে গেছে।

খাররার অভিযানের স্থল
খাররার অভিযানের স্থল

মানচিত্র (০৩) : খাররার অভিযানের স্থল

বিজ্ঞাপন

 

নামকরণ ও পতাকার রং

এই অভিযানের পতাকাও সাদা ছিল এবং পতাকা বহন করেন মিকদাদ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু।[1] স্থানের নামানুসারে এই সারিয়্যাকে খাররার অভিযান নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। ওই স্থানটি জুহফার অনতিদূরে অবস্থিত।

ইবনে হিশাম বলেন, কোনো কোনো ঐতিহাসিকের মতে খাররার অভিযান হামজা রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর অভিযানের পরে সংঘটিত হয়েছিল।[2]

আরো পড়ুন : সারিয়্যা আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ রা. – Expedition of Abu Ubaidah ibn al Jarrah

আরো পড়ুন : সারিয়্যা আবু বকর সিদ্দিক রা. – Expedition of Abu Bakr As-Siddiq

আরো পড়ুন : সারিয়্যা গালিব ইবনে আবদুল্লাহ আল-লাইসি (মায়ফাহ) – Expedition of Ghalib ibn Abdullah al-Laithi (Mayfah)

সাধারণ জ্ঞাতব্য

প্রকৃতপক্ষে ইসলামের ইতিহাসের সর্বপ্রথম অভিযান ছিল এই তিনটি। তাই মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সকল জীবনীকারই সারিয়্যাগুলো গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করেছেন। বিশেষত পাশ্চাত্যের লেখকগণ এই প্রসঙ্গে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ইসলামের যুদ্ধপ্রসঙ্গ এবং ওই সময়কার প্রেক্ষাপটও আলোচনা করেছেন।

তথ্যসূত্র

[1]. ইবনে সাদ, আত-তাবাকাতুল কুবরা : ২/৬; ইবনু সাইয়্যিদিন নাস, উয়ূনুল আসার, ১/২২৫

[2]. ইবনে হিশাম, আস-সিরাতুন নাবাবিয়্যা : ২/২৮৯

শেয়ার করুন

সূচীপত্র

error: Content is protected !!