৮. (৪) নাখলা অভিযান – Nakhla Raid
৪. সারিয়্যা আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রাযিয়াল্লাহু আনহু বা নাখলা অভিযান
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কর্তৃক প্রেরিত সারিয়্যা : ৪ |
|||||||
|
|||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
মদিনার মুসলমানগণ (মুহাজির) | মক্কার কুরাইশগণ | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রাযিয়াল্লাহু আনহু | আমর ইবনে হাদরামি | ||||||
শক্তি | |||||||
৮/১২ জন যোদ্ধা | অজ্ঞাত | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
মুসলমানদের পক্ষ থেকে ওয়াকিদ তামিমি সর্বপ্রথম শত্রুদলের উপর তির নিক্ষেপ করলেন। ফলে আমর ইবনে হাদরামি মৃত্যুমুখে পতিত হলো। আর উসমান ও হাকামকে তারা বন্দি করলেন। | হাকাম ইবনে কাইসান মুক্তি পেয়ে ইসলাম গ্রহণ করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতেই থেকে যান। অপরদিকে উসমান ইবনে আবদুল্লাহ মক্কায় চলে যায় এবং কাফের অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
|
||||||
নোট | |||||||
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই গনিমতের মাল বদরের যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তনের পর মুজাহিদগণের মাঝে বণ্টন করে দেন। এটিই ইসলামের প্রথম খুমুস। |
সময় ও স্থান পরিচিতি
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতের সপ্তদশ মাসে অর্থাৎ দ্বিতীয় হিজরির রজব মাসে আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর নেতৃত্বে আট অথবা বারো সদস্যের এক বাহিনীকে কুরাইশদের গতিবিধি লক্ষ করার জন্য মক্কা ও তায়েফের মধ্যবর্তী নাখলা নামক স্থানে প্রেরণ করেন।[1]
অংশগ্রহণকারীদের নাম
এই বারোজন হলেন,
১. আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রাযিয়াল্লাহু আনহু (আমির) ২. আবু হাইফা ইবনে উতবা রাযিয়াল্লাহু আনহু ৩. উতবা ইবনে গাযওয়ান রাযিয়াল্লাহু আনহু ৪. উক্কাশা ইবনে মিহসান রাযিয়াল্লাহু আনহু ৫. সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাযিয়াল্লাহু আনহু ৬. ওয়াকিদ ইবনে আবদুল্লাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু ৭. আমের ইবনে রবিআ রাযিয়াল্লাহু আনহু ৮. খালিদ ইবনে বুকাইর রাযিয়াল্লাহু আনহু ৯. সুহাইল ইবনে বাইদা রাযিয়াল্লাহু আনহু ১০. আমের ইবনে আয়্যাস রাযিয়াল্লাহু আনহু ১১. সাওয়ান ইবনে বাইদা রাযিয়াল্লাহু আনহু ১২. মিকদাদ ইবনে আমর রাযিয়াল্লাহু আনহু।
ইবনে হিশাম রহ. বলেন, ‘এই কাফেলায় আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রাযিয়াল্লাহু আনহু ব্যতীত আটজন মুহাজির ছিলেন, তাদের মধ্যে কোনো আনসার সাহাবি ছিলেন না।’[2]
সেনাপ্রধান
ইবনে কাসির রহ. বলেন, ‘এই অভিযানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমে আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে আমির মনোনীত করেন, কিন্তু যাত্রার শুরুতেই তিনি রাসুলের বিচ্ছেদে কান্নায় ভেঙে পড়েন, তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার পরিবর্তে আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রাযিয়াল্লাহু আনহু-কে নিযুক্ত করেন।’[3]
আরো পড়ুন : গাজওয়া হুনাইন – Battle of Hunayn
আরো পড়ুন : গাজওয়াতুল বুহরান – Invasion of Buhran
আরো পড়ুন : নাখলা অভিযান – Nakhla Raid
মানচিত্র (০৮) : সারিয়্যা আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রাযিয়াল্লাহু আনহু বা নাখলা অভিযান
অভিযানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
মুজামুত তাবারানিতে জুনদুব আল-বাজালি রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে হাসান সনদে বর্ণিত হয়েছে, যখন আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রাযিয়াল্লাহু আনহু যাত্রার জন্য প্রস্তুত হলেন, তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাতে একটি মুখবন্ধ পত্র দিয়ে নির্দেশ দিলেন, তিনি যেন দুই দিনের পথ অতিক্রম করার পর পত্রটি খুলে এর মর্মানুসারে কাজ শুরু করেন এবং সঙ্গীদের এই কাজে বাধ্য না করেন।[4]
ইবনে ইসহাক রহ. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশানুসারে আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রাযিয়াল্লাহু আনহু দুদিন পর পত্ৰ খুললেন। তাতে লেখা ছিল—
إِذَا نَظَرْتَ فِي كِتَابِي فَامْضِ حَتَّى تَنْزِلَ نَخْلَةَ، بَيْنَ مَكَّةَ وَالطَّائِفِ، فَتَرْصُدَ بِهَا قُرَيْشًا وَتَعْلَمَ لَنَا مِنْ أَخْبَارِهِمْ.
‘আমার এই পত্র যখন দেখবে, তখন তুমি সামনে অগ্রসর হবে এবং মক্কা ও তায়েফের মধ্যবর্তী স্থান নাখলায় গমন করে কুরাইশদের গতিবিধি লক্ষ করে তাদের সমস্ত তথ্য আমাকে অবহিত করবে।’[5]
এই কাজটি অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ও জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রাযিয়াল্লাহু আনহু সঙ্গীগণকে এই ব্যাপারে পূর্ণ এখতিয়ার দিলেন। তারা সকলেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই নির্দেশকে বিনাবাক্যে মেনে নিলেন এবং সকলেই ‘নাখলা’ গমনে সম্মতি জ্ঞাপন করলেন। কিন্তু ঘটনাক্রমে সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রাযিয়াল্লাহু আনহু ও উতবা ইবনে গাযওয়ান রাযিয়াল্লাহু আনহু যে উটে আরোহণ করেছিলেন, তা হারিয়ে যায়। তারা উভয়ে উটের সন্ধানে বহু দূর চলে যান। যখন তারা উটের সন্ধান পেলেন, তখন পথ হারিয়ে ফেললেন। শেষ পর্যন্ত তারা তাদের কাফেলার সাথে নাখলায় পৌঁছাতে পারলেন না, পেছনেই রয়ে গেলেন।[6]
আশহুরুল হুরুম বা সম্মানিত মাস
যখন আবদুল্লহ ইবনে জাহাশ রাযিয়াল্লাহু আনহু-এর কাফেলা নাখলায় পৌঁছাল, তখন রজব মাসের শেষ ভাগ—যা নিষিদ্ধ মাসসমূহের অন্তর্ভুক্ত ছিল। সন্ধ্যার দিকে কুরাইশদের একটি কাফেলা আগমন করে; সেখানে আমর ইবনে হাদরামি, আবদুল্লাহ ইবনে মুগিরার দুই পুত্র উসমান ও নাওফিল এবং মুগিরার ক্রীতদাস হাকাম ইবনে কাইসান ছিল। কাফেলার উটের উপর খেজুর ও বাণিজ্যসম্ভার ছিল। সাহাবায়ে কেরাম উভয় সংকটের কথা চিন্তা করলেন। যদি এই কাফেলাকে ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে মক্কায় গমন করে তারা আমাদের উপস্থিতির কথা প্রচার করে দেবে। অপরদিকে এখন রজব মাস, যে মাসে সব ধরনের যুদ্ধবিগ্রহ নিষিদ্ধ। অবশেষে তারা সিদ্ধান্ত নিলেন, এদের ছেড়ে দেওয়া সমীচীন হবে না। লড়াইয়ের মাধ্যমেই এটির সমাধান করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পর ওয়াকিদ তামিমি সর্বপ্রথম শত্রুদলের উপর তির নিক্ষেপ করলেন। ফলে আমর ইবনে হাদরামি মৃত্যুমুখে পতিত হলো। আর উসমান ও হাকামকে তারা বন্দি করলেন এবং শত্রুরা নাওফিল প্রাণ নিয়ে কোনোমতে পলায়ন করল।[7]
আরবজাতির সকল ধর্মমতেই রজব, জিলকদ, জিলহজ ও মুহাররম মাস-চতুষ্টয়কে ‘আশহুরুল হুরুম’ (الأشهر الحرم) বা সম্মানিত মাস বলে গণ্য করা হতো। এই মাসগুলোতে যুদ্ধ-বিগ্রহ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ছিল। ইসলামেও তখন এটি সমর্থিত ছিল, অবশ্য পরবর্তীকালে তা মানসুখ হয়ে গেছে কি না—এ ব্যাপারে মতপার্থক্য রয়েছে।
আরো পড়ুন : গাজওয়া যু-আমর – Dhu Amarr raid
আরো পড়ুন : গাজওয়া সারিয়্যা আর-রাজি – Expedition of Al Raji
আরো পড়ুন : গাজওয়া হামরাউল আসাদ – Battle of Hamra al-Asad
এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার কারণে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করলেন। এমনকি তাদের আনীত গনিমতের মাল ও বন্দিদের গ্রহণ করতেও অসম্মতি জ্ঞাপন করলেন। অপরদিকে কাফের মুশরিকরা বলাবলি শুরু করল, মুসলমানরা হারাম মাসের পবিত্রতা ক্ষুণ্ণ করেছে। চতুর্দিক থেকে প্রশ্ন উত্থাপিত হলো, এই মাসগুলো সম্পর্কে ইসলাম ধর্মের নীতি কী? তাদের প্রশ্নের জবাবে আল্লাহ তায়ালা ওহি অবতীর্ণ করলেন,
يَسْأَلُونَكَ عَنِ الشَّهْرِ الْحَرَامِ قِتَالٍ فِيهِ قُلْ قِتَالٌ فِيهِ كَبِيرٌ وَصَدٌّ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ وَكُفْرٌ بِهِ وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَإِخْرَاجُ أَهْلِهِ مِنْهُ أَكْبَرُ عِنْدَ اللَّهِ
‘লোকেরা আপনাকে হারাম মাস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। আপনি বলে দিন, এই মাসসমূহে (ইচ্ছাকৃতভাবে) যুদ্ধ করা ভীষণ অন্যায়। কিন্তু আল্লাহর পথ থেকে লোকদের বাধা প্রদান করা, আল্লাহর সাথে এবং মসজিদে হারামের সাথে কুফরি করা এবং মসজিদে হারামের অধিবাসীদের বহিষ্কার করা আল্লাহর নিকট তার চাইতেও বড় অপরাধ। আর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হত্যার চাইতেও ভয়াবহ।’[8]
ইবনে ইসহাক রহ. বলেন, ‘এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ-বাহিনী কর্তৃক লব্ধ গনিমতের মালামাল ও বন্দিদের গ্রহণ করে তাদের মধ্যে বণ্টন করলেন।’ ওয়াকিদি রহ. বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই গনিমতের মাল বদরের যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তনের পর মুজাহিদগণের মধ্যে বণ্টন করে দেন। এটিই ইসলামের প্রথম খুমুস।’[9]
ওয়াকিদ ইবনে আবদুল্লাহ তামিমির তিরের আঘাতে আমর ইবনে হাদরামি নিহত হয়েছিল বিধায় আমরই সর্বপ্রথম নিহত কাফের এবং ওয়াকিদ রাযিয়াল্লাহু আনহু হলেন সর্বপ্রথম হত্যাকারী মুজাহিদ। আর উসমান ও হাকাম ইবনে কাইসান ছিল মুসলমানদের হাতে প্রথম বন্দি।
মক্কাবাসীর দূত প্রেরণ
এ ঘটনার পর মক্কাবাসীর দূত প্রেরণ করে বন্দিদের মুক্তি কামনা করে। মুসলমানদের এই বাহিনীর যে দুজন উটের সন্ধানে ব্যাপৃত ছিলেন, তারা মদিনায় প্রত্যাবর্তনের পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বন্দিদ্বয়কে মুক্তি দিলেন। হাকাম ইবনে কাইসান মুক্তি পেয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতেই থেকে যান। অপরদিকে উসমান ইবনে আবদুল্লাহ মক্কায় চলে যায় এবং কাফের অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।[10]
হারাম মাসসমূহে যুদ্ধ-সম্পর্কিত আয়াত নাজিল হওয়ার পর আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রাযিয়াল্লাহু আনহু ও তার সঙ্গীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা কি এই অভিযানের জন্য মুজাহিদের সওয়াবপ্রাপ্ত হবো? তখন এই আয়াত নাজিল হয়,
إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَالَّذِينَ هَاجَرُوا وَجَاهَدُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أُولَئِكَ يَرْجُونَ رَحْمَتَ اللَّهِ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ
“যারা ঈমান আনে এবং যারা হিজরত করে ও জিহাদ করে আল্লাহর পথে, তারাই আল্লাহর অনুগ্রহ প্রত্যাশা করে। আল্লাহ ক্ষমাপরায়ণ, পরম দয়ালু।”’[11]
আরো পড়ুন : গাজওয়া মুরাইসি – Expedition of al-Muraysi’
আরো পড়ুন : গাজওয়া যাতুর-রিকা – Expedition of Dhat al-Riqa
আরো পড়ুন : গাজওয়া যি-কারাদ বা গাজওয়া গাবা – Expedition of Dhu Qarad
ইবনে হিশামের বর্ণনামতে এই সুসংবাদ পেয়ে আবদুল্লাহ ইবনে জাহাশ রাযিয়াল্লাহু আনহু নিচের পঙ্ক্তিগুলো আবৃত্তি করেন,
تَعُدُّونَ قَتْلًا فِي الْحَرَامِ عَظِيمَةً … وَأَعْظَمُ مِنْهُ لَوْ يَرَى الرُّشْدَ رَاشِدُ
صُدُودُكُمُ عَمَّا يَقُولُ مُحَمَّدٌ … وَكُفْرٌ بِهِ وَاللَّهُ رَاءٍ وَشَاهِدُ
وَإِخْرَاجُكُمْ مِنْ مَسْجِدِ اللَّهِ أَهْلَهُ … لِئَلَّا يُرَى لِلَّهِ فِي الْبَيْتِ سَاجِدُ
فَإِنَّا وَإِنْ عَيَّرْتُمُونَا بِقَتْلِهِ … وَأَرْجَفَ بِالْإِسْلَامِ بَاغٍ وَحَاسِدُ
سَقَيْنَا مِنَ ابْنِ الْحَضْرَمِيِّ رِمَاحَنَا … بِنَخْلَةَ لَمَّا أَوْقَدَ الْحَرْبَ وَاقِدُ
دَمًا وَابْنُ عَبْدِ اللَّهِ عُثْمَانُ بَيْنَنَا … يُنَازِعُهُ غلّ من القدّ عائد
‘তোমরা হারাম মাসে যুদ্ধ করা গর্হিত গণ্য করো, তবে সত্যদ্রষ্টার জন্য এ থেকে অধিক গর্হিত কাজ হলো, মুহাম্মাদের বাণী প্রচারে তোমাদের বাধা দান এবং তা প্রত্যাখ্যান। আল্লাহই এটি প্রত্যক্ষকারী ও সাক্ষী যে, তোমরা আল্লাহর ঘর থেকে এর অধিবাসীগণকে বহিষ্কার করো, যাতে আল্লাহর ঘরে কোনো ইবাদতকারী না থাকে, এটিও অত্যন্ত গর্হিত কাজ।’[12]
তথ্যসূত্র
[1]. ইবনে সাদ, আত-তাবাকাতুল কুবরা : ১/৩১০
[2]. ইবনে হিশাম, আস-সিরাতুন নাবাবিয়্যা : ২/২৫২
[3]. ইবনে কাসির, আত-তাফসির : ১/১৯০
[4]. সিরাতুল মুস্তফা : ২/৫১
[5]. ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া : ৩/৩০৫
[6]. ইবনে হিশাম, আস-সিরাতুন নাবাবিয়্যা : ২/২৫২
[7]. ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া : ৩/৩০৫
[8]. সুরা বাকারা : ২১৭
[9]. ইবনে কাসির, আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া : ৩/৩০৬; ইবনে সাদ, আত-তাবকাতুল কুবরা : ১/৩১১
[10]. ইবনে হিশাম, আস-সিরাতুন নাবাবিয়্যা : ২৩, ২৫৫
[11]. সুরা বাকারা : ২১৮
[12]. ইবনে কাসির, আত-তাফসির